আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো মানুষের অধিকার আদায়ে লক্ষ্যে। সেই সংগঠন আমাদের ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, ছয় দফার আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের যে অবদান, কোনো গোষ্ঠী কিংবা কারো কারো অপরাধের জন্য নিশ্চয়ই একটি সংগঠনের ঐতিহ্য একসঙ্গে ধুলোয় মিশে যেতে পারে না। কাজেই তাদের যেসব ভালো কাজ আছে সেটাকে স্বীকৃতি দিতে হবে, ভুলত্রুটি থাকলে সংশোধনের সুযোগ এবং অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। ছাত্রলীগের অধিকাংশের ভালো কাজকে আমাদের উৎসাহ এবং স্বাগত জানাতে হবে।
দীপু মনি বলেন, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা শুধুমাত্র জেলা ও পৌর এলাকায় নয়, তারা ইউনিয়ন পর্যায়েও অসহায় মানুষদের পাশে নিজেদের সাধ্যমতো বিভিন্ন সহায়তা নিয়ে দাঁড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন সবাইকে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। আমাদের সমাজে এখনো কিছু দরিদ্র লোক রয়েছে। আমরা দারিদ্রের সংখ্যা এখনো শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পারিনি। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হচ্ছি। কাজেই এখনো দারিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষ আছে।
মন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে এই রোজার সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে, যারা মুনাফাখোর, যারা অতিরিক্ত মুনাফার লোভে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষেরা কষ্ট পায়। সেই কষ্ট লাঘব করার জন্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এই ব্যবস্থাগুলো করার সারাদেশব্যপী আমাদের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন। কাজেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিজের সাধ্যমতো অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান ভুঁইয়া, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপিকা মাসুদা নুর, জেলা যুবলীগ যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আরাফাত সানিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।