মুড সুইং শব্দটির সঙ্গে নিশ্চয়ই আপনি পরিচিত? এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি জীবনে কখনো না কখনো এর ভেতর দিয়ে যাননি। অনেকে হয়তো আবার এ সম্পর্কে খুব একটা জানেনও না। এই মেজাজ ভালো তো পরক্ষণেই আবার খিটখিটে লাগছে, এমনটা তো হয়েই থাকে তাই না? মেয়েদের সঙ্গে মুড সুইং শব্দটি বেশি যায় ঠিকই তবে ছেলেরাও পিছিয়ে নেই। সবার ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে মুড সুইং। কিন্তু এটি কেন হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
গর্ভাবস্থা অথবা পিরিয়ড
পিরিয়ডের সময় নারীর মানসিক এবং শারীরিক কিছু পরিবর্তন হয়, যা তার হরমোনকে প্রভাবিত করে। যে কারণে পিরিয়ডের সময় ক্ষণে ক্ষণে মেজাজ পরিবর্তিত হতে থাকে। এসময় এটি স্বাভাবিক। শুধু তাই নয়, মুড সুইং হতে পারে গর্ভাবস্থায়ও। কারণ এসময়ও শরীর ও মনে নানা পরিবর্তন আসে
ঘুমের অভাব হলে
ঘুমের সমস্যা আমাদের অনেকেরই রয়েছে। বিশেষ করে তরুণদের রাত জেগে থাকার অভ্যাসের কারণে এটি বেশি দেখা দিতে পারে। আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের মস্তিষ্ক এবং শরীর বিশ্রাম পায়। কিন্তু ঘুমের স্বল্পতা হলে তা সম্ভব হয় না। তখন শরীর তো দুর্বল হয়ই সেইসঙ্গে মেজাজও হয়ে যায় রুক্ষ। এর ফলে মুড সুইং হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।
রক্তে শর্করা কমে গেলে
রক্তে শর্করা বেশি যেমন ক্ষতিকর তেমনই কম হলে তাও ক্ষতিকর। কারণ রক্তে শর্করা কমে গেলে তার প্রভাব পড়ে শরীর ও মনে। তখন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। তাই দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা ঠিক নয়। নির্দিষ্ট বিরতিতে খাবার খেতে হবে। খেয়াল করে দেখবেন, ক্ষুধা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু আমাদের রাগও বেড়ে যায়।
বাইপোলার ডিসঅর্ডার
উদ্বেগ জনিত সমস্যা, বিষণ্ণতা, বর্ডার লাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার, এডিএইচডি, বাইপোলার ডিসঅর্ডার সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণেও দেখা দিতে পারে মুড সুইং। এছাড়া কারও কারও ক্ষেত্রে ওষুধের প্রভাবে মুড সুইং হতে পারে। এ ধরনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।