রাজশাহী সংবাদ ডেস্ক
মেট্রোরেলে যাত্রী নিরাপত্তায় থাকছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। স্টেশনে ঢোকার পর থেকে প্রতিটি ধাপে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির সহায়তায় সহজতর হবে যাত্রাপথ। ঢাকায় মেট্রোর প্রতিটি স্টেশনে রয়েছে চলন্ত সিঁড়ি। এর পর প্লাটফর্মের নির্দিষ্ট পয়েন্টে আছে স্বয়ংক্রিয় দরজা। ট্রেন আসার সঙ্গে সঙ্গে খুলে যাবে এই দরজা। এটি নিয়ন্ত্রণের সফটওয়্যার তৈরি করেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নিপ্পন।
স্টেশনের মূল প্ল্যাটফর্মে ঢোকা ও বের হওয়ার মুখের দরজা খুলতে ব্যবহার করতে হবে চিপযুক্ত টিকিট। স্টেশনে যাত্রীদের তাৎক্ষণিক টিকেট কাটার ব্যবস্থার পাশাপাশি সাপ্তাহিক ও মাসিক টিকেটও মিলবে বিশেষ মেশিনে। এই প্রযুক্তি তৈরি করছে সনি কোম্পানি। প্রতিটি স্টেশনে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত ঘোষণার মাধ্যমে যাত্রীদের জন্য থাকবে দিকনির্দেশনা। স্টেশনে ও ট্রেনের ভিতরে ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে চলবে সার্বক্ষণিক মনিটরিং।
প্রতিটি স্টেশনে থাকবে সুপরিসর প্ল্যাটফর্ম, যাত্রীরা পাবেন আরামদায়ক বসার সুবিধা। পুরো স্টেশন থাকবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। স্টেশনের দ্বিতীয় তলা নগরবাসীর রাস্তা পারাপারে জন্য ব্যবহৃত হবে।
ডিএমটিসিএল কতৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেলের নিয়ন্ত্রণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কমিউনিকেশন বেজড ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম (সিবিটিসি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। থাকছে অটোমেটিক ট্রেন অপারেশন (এটিও), অটোমেটিক ট্রেন প্রটেকশন (এটিপি), অটোমেটিক ট্রেন সুপারভিশন (এটিএস) ও মুভিং ব্লক সিস্টেম (এমবিএস)।
আপৎকালীন পরিস্থিতিতে মেট্রোরেল স্টেশন থেকে বের হতে জরুরি বহির্গমন পথ রয়েছে। স্টেশন ও ট্রেনে রাখা হয়েছে স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা। মেট্রোরেলের পুরো লাইন জুড়ে আছে ‘নয়েজ ব্যারিয়ার ওয়াল।’ এটি টেন চলাচলের সময় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখবে।