নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করায় ২০জন সেরা উদ্যোক্তা এবং মৎস্য চাষে সেবা প্রদানকারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ), ড্যানিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট এজন্সি (ডানিডা) এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে পরিচালিত ‘নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্য পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শতফুল বাংলাদেশ সম্প্রতি এই সম্মাননা প্রদানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ অহেদুজ্জামান, বাগমারা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রবিউল করিম শতফুল বাংলাদেশ এর পরিচালক (কার্যক্রম) মোঃ হুমায়ূন কবির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শতফুল বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ নাজিম উদ্দিন মোল্লা।
প্রকল্প সমন্বয়কারী সৈয়দ কাওসার হোসেন জানান, রাজশাহী জেলার মোহনপুর, বাগমারা, পবা ও দূর্গাপুর উপজেলায় এই প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়, যার মাধ্যমে নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্য পণ্য উৎপাদনে উদ্যোক্তা তৈরি, মৎস্য চাষীদের আধুনিকায়ন, বাণিজ্যিক মৎস্য খাবারের বিকল্প হিসেবে কালো সৈনিক পোকার চাষ, স¦াদু পানির পুকুরে ঝিনুক চাষের মাধ্যমে মুক্তা উৎপাদন কার্যক্রম চলমান আছে। এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক উদ্যোক্তাকে প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক ও কারিগরি সেবা প্রদান করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সেরা ২০ জন উদ্যোক্তাকে সম্মননা প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মোহনপুর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ অহেদুজ্জামান বলেন, এ ধরনের সম্মাননা প্রদান নিরাপদ মৎস্য উৎপাদনকারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করবে। মাছ চাষে বর্তমান বাংলাদেশ চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন করছে, কিন্তÍুÍ সঠিক চাষ পদ্ধতি অনুশীলন না করায় বিদেশে রপ্তানী করা যাচ্ছে না। তাই উত্তম মৎস্য চাষ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ মাছ উৎপাদন করতে পারলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।
শতফুল বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক নাজিম উদ্ধিন মোল্লা বলেন, আমরা নিরাপদ মাছ উৎপাদন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি, যারা গত এক বছর আমাদের সাথে থেকে সফলভাবে কাজ করেছে আমরা তাদের পুরস্কৃত করেছি। ভবিষ্যতে এ ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।