বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, রমজান মাস সংযমের মাস। এ মাসেও বিএনপির নেতারা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি চলমান রাখার কথা বলছেন। রমজান মাসে কর্মসূচি চলমান রাখার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিএনপি জনগণের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। তাদের এই কর্মসূচি রমজানের মধ্যেও জনভোগান্তি সৃষ্টি করবে। অর্থাৎ তারা দেশের জনগণকে কোনোভাবেই স্বস্তিতে থাকতে দিতে চায় না। আমরা আগেই বলেছি, রমজানে ঘোষিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপি আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তারা দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে তাদের তথাকথিত সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে দেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংসের পাঁয়তারা করে আসছে। কিন্তু তাদের ডাকে জনগণ কখনোই সাড়া দেয়নি। বরং তারা জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পরোক্ষভাবে বন্দিত্বের কথা বলছেন; তারা নাকি স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারেন না। অথচ তারা নিয়মিত সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন, চড়া গলায় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভুলের চোরাবালিতে আটকা পড়েছেন, ভুল রাজনীতির ফ্রেমে বন্দি হয়ে আছেন। তারা খুনি-দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী তারেক রহমানের নেতৃত্বের দাসত্বে বন্দি হয়ে আছেন। তাদের শুভবুদ্ধির উদয় বা বিবেক জাগ্রত না হলে তারা এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাবেন না। বন্দি অবস্থায় থাকতে থাকতে ভ্রমের কারণে তারা তাদের বন্দিত্বের দায়ভার সরকারের ওপরে চাপানোর অপচেষ্টা করছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। রমজান মাসে জনগণের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য সরকার সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের পাশে ছিল এবং থাকবে।