নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই এখানে তাপমাত্রা কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। তবে, মঙ্গলবার তাপমাত্রা খুব একটা নিচে না নামলেও শীত অনুভুত হচ্ছে অনেক বেশি। সকাল থেকে শীতে কাহিল রাজশাহীর মানুষ। দুপুর পর্যন্ত এখানে সূর্যের দেখা মেলেনি। বিকেল তিনটার দিকে সূর্য দেখা দিলেও প্রখরতা নেই। এদিকে. ঘন কুয়াশার কারণে শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বিমানের ফ্লাইট।
সোমবার বিকেল থেকে শীতের সাথে বাতাস বইছে এ অঞ্চলে। রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে কুয়াশা। মঙ্গলবার সকালও কুয়াশায় ঢেকে ছিলে পথঘাট। একাণে সকালেও মহাসড়কে লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলতে দেখা গেছে।
তবে, আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ঠান্ডা বেশি অনুভুত হলেও মঙ্গলবার রাজশাহীতে তাপমাত্রা খুব একটা নিচে নামেনি।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর আগে চলতি মৌসুমে তাপমাত্রা আরো নিচে নেমেছিলো। কিন্তু শীত এতটা অনুভুত হয়নি। চলতি বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এক সপ্তাহ আগে গত বুধবার। ঐ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। মঙ্গলবার ১৩ ডিগ্রীর উপরে তাপমাত্রা থাকার পরও বেশি শীত অনুভুত হওয়ার কারণ সম্পর্কে কামাল হোসেন বলেন, দুদিন ধরে সূর্যের প্রখরতা নেই। রোদ না থাকার কারণে এবং বাতাস থাকায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। তিনি বলেন, জানুয়ারি মাস জুড়েই তাপমাত্রা উঠা নামা করবে। তাপমাত্রা কারো কমে যাবে। শীতও বেশি অনুভূত হবে।
বিমানের সিডিউল বিপর্যয়
ঘন কুয়াশার কারণে শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইট। সিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে। গড়ে প্রতিদিন ২ থেকে আড়াই ঘন্টা পর্যন্ত বিলম্বিত হচ্ছে সকালের ফ্লাইট।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন গড়ে পাঁচটি বিমান ওঠানামা করে। সবগুলো বিমানে ঢাকা থেকে রাজশাহী চলাচল করে। গত সাতদিন ধরে সকালের প্রতিটি বিমানে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। রাজশাহীতে ঘন কুয়াশার কারণে ও ঢাকায় ঘন কুয়াশার কারণে এমন শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার ফাইট ছেড়ে গেছে দুপুর সাড়ে বারোটায়। মূলত ঘন কুয়াশার কারণে রাজশাহী থেকে বিমানের শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। এদিকে শিডিউল বিপর্যয় ও তীব্র শীতের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।
প্রাচীন বিমানবন্দরের সিকিউরিটি ইনচার্জ খায়রুন নাহার বলেন, সকালে বিমানগুলোতে শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটছে। দুই থেকে আড়াই ঘন্টা পর্যন্ত শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি।
রাজশাহী হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরের ম্যানেজার দিলারা পারভীন বলেন, গত ৭ দিন থেকে ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচলের সিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটছে। সকালের দিকে শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে কিন্তু বিকেলের শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে না। মূলত সকালে ঘন কুয়াশার কারণে শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ফাইট বাতিল করা হয়নি।