• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

এমপি কালামকে শোকজ করেছে আওয়ামী লীগ

রিপোর্টার নাম:
সর্বশেষ: শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে তাকে শোকজ করা হয়। সেই সাথে কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত বক্তব্য আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দলের সভাপতি বরাবর জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত আপনার বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। শিষ্টাচার বহির্ভূতভাবে প্রদত্ত আপনার বক্তব্য সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এমতাবস্থায়, আপনার বিরুদ্ধে কেনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যাসহ আপনার লিখিত জবাব আগামী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর মাননীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা) প্রেরণের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপিত অনিল কুমার সরকার বলেন, একটি চিঠি এসেছে এমনটি শুনেছি। তবে এখনও হাতে পাইনি। এটি দেখে তারপর মন্তব্য করতে পারবো।
এবিষয়ে জানতে চাইলে এমপি আবুল কালাম আজাদ বলেন, কে কীভাবে আমার বক্তব্য প্রচার করেছে সেটি দেখার বিষয়। আমার ১০ মিনিটের একটি ভিডিও থেকে যদি কেউ কেটে ১০ সেকেন্ড করে প্রচার করে তাহলে কি হবে?
চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এখনও চিঠি হাতে পাইনি। চিঠি পেলে সেই অনুযায়ি লিখিত বক্তব্য দিবো।

উল্লেখ্য, গত ৯ মার্চ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারার গণসংবর্ধনায় তিনি বক্তব্য দেন। এর আগে ভোটের সময়ও তার হুমকি দেয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বক্তব্য দিতে গিয়ে তার নিজ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকারকে প্রকাশ্যেই অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিল কুমার দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী এনামুল হকের কাঁচি প্রতীকের পক্ষে ছিলেন। সে কথা তুলে ধরে আবুল কালাম বলেন, ‘কাঁচির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছিলাম ভাই। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, এই… বাচ্চা, এদেরকে বলতে চাই, একজন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাঁচিতে ভোট করেন কীভাবে!’


আরো খবর