রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জমকালো আয়োজন ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে হীরকজয়ন্তী উৎযাপন করেছেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীর মিলন মেলায় প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে হীরকজয়ন্তী উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ যেখান থেকে আগামীর নেতৃত্ব তৈরী হবে। অতীতে যেভাবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের জ্ঞান অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা দিয়ে দেশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছে আগামীতেও তারা দেশের নেতৃত্ব দিবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা রাখেন এ অধ্যাপক।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসাইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকসহ সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
পরে বিভাগটির সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি বের হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড, প্রশাসনিক ভবন, টুকিটাকি চত্বর, রবীন্দ্র ভবনসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিভাগের সামনে মিলিত হোন।
আকাশী কালার শাড়ী পড়ে র্যালির সামনের সারিতে অংশগ্রহণ করেন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ্জোহরা। তার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত। প্রতিষ্ঠার ৬০ বছরে পদার্পণ করছে আমাদের বিভাগ যেটি আমাদের জন্য খুবই আনন্দের। এতো সুন্দর জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে হীরকজয়ন্তী উৎযাপন এর আগে কোনো ডিপার্টমেন্ট করেনি, আমরাই প্রথম।
হীরকজয়ন্তীতে উৎযাপননে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী বর্ষা রাণী মন্ডল বলেন, আমার কাছে আজকের দিনটা খুবই আনন্দের যার অনুভূতি বলে শেষ করা যাবে না। প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করতে অনেকদিন যাবত প্রস্তুতি নিতে হয়েছে আমাদের। খোলা আকাশের নীচে, সবাই আকাশী কালার শাড়ী পড়ে র্যালিতে অংশগ্রহণ করার অনুভূতি দারুণ। বিকেলে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে ফলে অনেকদিন যাবত প্রস্তুতি নিচ্ছি। ক্যাম্পাস লাইফে সব থেকে সেরা পাওয়া গুলোর মধ্যে হীরকজয়ন্তী উৎযাপন একটি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারহাত তাসনীম বলেন, আমাদের আয়োজন খুব সাজানো গোছানো ছিলো। এতে প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেছেন। আমরা সাবেকদের জানিয়েছিলাম তাঁরাও আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে হীরকজয়ন্তী উৎযাপনে অংশগ্রহণ নেন। বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সেখানে আমাদের ছেলে-মেয়েরাই পারফর্ম করবে। আয়োজনটি সুন্দরভাবে সফল করায় সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এদিকে হীরকজয়ন্তী উৎযাপন উপলক্ষে বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে থাকবে ফটোসেশানের ব্যবস্থাও।