রাজশাহী শহরে থাকা ১৬৫টি পুকুরে মাটি ভরাট বন্ধ করে তা সংরক্ষণের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনামূলক পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ হয়েছে। এতে ৪টি নির্দেশনা রয়েছে। এর আগে গত বছরের ৮ আগস্ট বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। খবর: নিউজবাংলা
রাজশাহীতে পুকুর ভরাট ও দখল নিয়ে ২০১৪ সালে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ রিট করে। ওই রিটের দীর্ঘ শুনানি শেষে রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেয় আদালত।
রায়ে ৪ দফা নির্দেশনায় বলা হয়, অবিলম্বে এবং ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে ১৬৫টি পুকুরের একটি পুকুরও যেন দখল বা মাটি ভরাট না করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে, পুকুরগুলোর আসল প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যে অনুযায়ী বজায় রাখতে হবে, এটি একটি চলমান মামলা থাকবে যেন পুনরায় ভবিষ্যতে পুকুর দখল বা মাটি ভরাট না করা হয় এবং অবিলম্বে এবং ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিখ্যাত সুকান দিঘিকে তার আদি প্রকৃতিতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং দিঘির দখল করা অংশ পুনরুদ্ধার করতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, প্রভাবশালীরা জোর করে রাজশাহীতে পুকুর ভরাট ও দখল করছে প্রশাসনের নাকের ডগায় কিন্তু কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় না। মিডিয়ায় একজন সংসদ সদস্যের ছত্রছায়ায় বিষয়টি হয়েছে বলে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
মনজিল মোরসেদ বলেন, দেশের সংবিধান পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, জলাধার সংরক্ষণ আইনে সুনির্দিষ্টভাবে জলাধার সংরক্ষণ করার নির্দেশনা রয়েছে, তা সত্ত্বেও রাজশাহী শহরে শত শত পুকুর দখল ও ভরাট হলেও কোনো আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হয় না। যে কারণে রিট করা হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে রায় দিয়েছে। সে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি সোমবার প্রকাশ হয়েছে।