• ঢাকা, বাংলাদেশ বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রামেক ছাত্রদলের সভাপতি নূর, সম্পাদক রীমন রাজশাহীতে ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো বাংলাদেশ রংপুর বিভাগীয় সমিতির সভাপতি ডা. মতিউল, সম্পাদক সাংবাদিক সাজু রাজশাহীর নিউমার্কেটের আগুনে পোড়া ১২ দোকানীকে রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ ও বাপার সহায়তা রাজশাহীতে ৫ রত্নগর্ভা মাকে ও দুই সংগ্রামী নারীকে সম্মাননা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, দেড় লাখ ছাড়ালো ভরি রাজশাহীতে নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছেই, ৫৭ শতাংশই রাজশাহীর তানোরে বিএনপির লিফলেট বিতরণে হামলার ঘটনায় সাংবাদিক সম্মেলন  তানোরে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণে হামলা এক লাখ মানুষের রোজগারের প্রত্যক্ষ সহযোগী নাবিল গ্রুপ: পার্টনারস্ মিট অনুষ্ঠানে এমডি
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

রাবিতে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

রাবি প্রতিনিধি
সর্বশেষ: শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় এক আনন্দ শোভাযাত্রা পালন করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে বেলা সাড়ে ১০টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম, আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এস এম এক্রাম উল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. অবাইদুর রহমান প্রামানিক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল হাসানের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক এক্রাম উল্লাহ বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদী দর্শন, অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণমুখী, প্রগতিবাদী ও মানবতাবাদী। আর বর্তমান  বাংলাদেশে এই জাতীয়তাবাদ চেতনাকে ধরে রাখা সম্ভব নয়, একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া কারণ তিনি আমাদের চিন্তা, চেতনায় ও আদর্শে মিশে আছেন। বাঙালিকে একত্রিত করার জন্য, দেশপ্রেমী জনগণকে একত্রিত করার জন্য, দেশকে রক্ষা করার জন্য এবং মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকারের নিশ্চিত করার জন্য ১৯৮১ সালের ১৭মে তার প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত জরুরি ছিল। প্রত্যাবর্তনের শুরুতেই গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার শক্তিশালী অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি গণতন্ত্রের জন্য জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন এবং ভবিষ্যতে করবেন বলে আমরা আশাবাদী।
তিনি আরও বলেন, তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে জেনারেল এরশাদ এবং জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘরে তোলেন। তিনিই প্রথম যে সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলেন। সে সময় তিনি বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত করে বাঙালি জাতিকে সামরিক শাসন থেকে মুক্ত করেন। এসব আন্দোলনের একমাত্র কারণ হলো বাংলাদেশ এবং দেশের জনগণের প্রতি প্রেম, মায়া ও মমতা। তিনি বাংলাদেশ এবং দেশের জনগণের জন্য নিবেদিত, বিচলিত এবং চিন্তিত। এক কথায় তিনি দেশ প্রেমিক। বঙ্গবন্ধু যেমন দেশের মানুষের মুক্তির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন, তেমনি তিনি দেশের মানুষের হাত এবং ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে চলছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, স্বৈরাচারের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন আমরা বাংলাদেশের মানুষ পুনর্শৃঙ্খলা মুক্ত ও পুনর্স্বাধীনতা লাভের  কোষালগ্ন হিসেবে তুলনা করতে পারি। তিনি সেদিন সমগ্র বাঙালি জাতির আশা-ভরসার আস্থার সোনালী সূর্য হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন। যা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। তার প্রত্যাবর্তন ১৯৭২ সালের ১০শে জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সাথে তুলনা করা যায়। তার প্রত্যাবর্তনে এই বাংলার প্রকৃতি আনন্দ ও কষ্টে কান্নায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিল।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড.
প্রণব কুমার পাণ্ডে সহ অনেকেই।


আরো খবর