নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সহকারী সমাজসেবা অফিসার শেখ আবু হানিফ। কিন্তু তিনি সফল হতে পারেননি। বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে ধরা পড়েন। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। এদিকে, বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তি জালিয়াতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার দায়ে রাবি ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল ইসলাম শান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ‘এ’ ইউনিটের চতুর্থ শিফটে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ১৩৯ নম্বর কক্ষে অন্যের হয়ে প্রক্সি দিতে বসেন শেখ আবু হানিফ। তিনি ৩৮ তম বিসিএস নন ক্যাডার অফিসার। বর্তমানে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সহকারী সমাজসেবা অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের মনিটরিংএ ধরা পড়েন তিনি। মঙ্গলবার অন্যের হয়ে প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে মোট ৭ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। ওই দিন আইনশৃঙ্খলা বাহীনির জিজ্ঞাসাবাদে ৬ জন তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করলেও শেখ আবু হানিফ নিজের পরিচয় গোপন রাখেন। তবে পুলিশের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে তার নাম-পরিচয়।
এদিকে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সিকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল ইসলাম শান্তকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মঙ্গলবার রাতে নগরীর কাটাখালি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এবং রাবির ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় কুমার বসাক বলেন, মঙ্গলবার আটক হওয়া প্রক্সিদাতাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী শান্তর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এটি নিশ্চত হওয়ার পর নগরীর কাটাখালি এলাকা থেকে শান্তকে গ্রেপ্তার করে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার একরামুল হক জানান, রাবির ভর্তিতে প্রক্সি ও জালিয়াতির ঘটনায় মোট ৭টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে মতিহার থানায় ৬টি মামলা। আর চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ মামলাগুলো তদন্ত করছে।