• ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

রূপচাঁদার নামে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ

রিপোর্টার নাম:
সর্বশেষ: শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
??

বাঘা প্রতিনিধি

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দিঘা বাজারে রূপচাঁদা বলে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ। বাজারে নিয়ে আসা একেকটি পিরানহার ওজন ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রাম । প্রতি কেজি পিরানহার দাম রাখা হচ্ছে ২০০ টাকা। মাছটি সম্পর্কে ক্রেতাদের জানা না থাকায় না বুঝেই রূপচাঁদা হিসেবে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকই।

শুক্রবার দুপুরে ২০০ টাকা কেজিদরে এক হাজার টাকায় ৫ কেজি পিরানহা নিয়ে যাচ্ছিলেন কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তাকে যখন বলা হলো এটা রূপচাঁদা নয়, রাক্ষুসে পিরানহা। তিনি তখন কোন কথা উত্তর না দিয়ে হাঁটা দেন বাড়ির পথে । আব্দুর ছাত্তার নামের এক ভ্যান চালক মাছের কেজি কত জানতে চাইলে

মাছ বিক্রেতা জানান রুপচাঁদা এক দাম ২০০ করে। দরদামের এক পর্যায়ে

ছাত্তার ১৯০টাকা কেজি দরে ৫০০ গ্রাম কিনলেন । পরে মাছ ক্রেতা ছাত্তারের কাছে কি মাছ কিনলেন জানতে চাইলে রুপচান্দা কিনলাম বলে জানান তিনি। তাকে জানানো হলো এটা রুপচাঁদা নয়, এটা রাক্ষসে পিরানহা মাছ। তখন তিনি বললেন, একটা মাছ কিনেছি এতে কী হবে বলে চলে গেলেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাট বার বাদে শুক্রবার দিঘাবাজারে বিক্রির জন্য হরেক রকম মাছের সঙ্গে পিরানহা নিয়ে বসেছেন এক মাছ বিক্রেতা। প্রতিটি মাছের দাঁতগুলো প্রায় মানুষের দাঁতের মত। মাছের পুরো শরীর মাংসে ভরপুর। প্রতি কেজি ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন তিনি।

রাক্ষুসে পিরানহা মাছ নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কেন বিক্রি করছেন জানতে চাইলে ওই বিক্রেতা বলেন, মাছ তো মাছই। মাছগুলো নওগাঁ জেলার আত্রাই মাছ বাজারের আড়ত থেকে রূপচাঁদা মাছ জেনে সতেরো কেজি মাছ কিনেছি। সেখান থেকে উত্তরা ট্রেনে আব্দুলপুর রেল স্টেশনে নেমে দিঘা বাজারে এসে বিক্রি করছি। অন্য মাছের তুলনায় দাম কম হওয়ায় বাজারে এগুলোর ভাল চাহিদা। মাছ বিক্রেতা আরো বলেন, এ মাছ খেলে কোনো ক্ষতি হয় না জেনে বিক্রি করতে নিয়ে এসেছি। তবে সরকার কর্তৃক এ মাছ বিক্রি নিষিদ্ধ সেটা আমার জানা নেই।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাহাদুল ইসলাম বলেন, পিরানহা মাছ দেখতে অনেকটা রূপচাঁদা মাছের মতো । বাংলাদেশের জলজ পরিবেশের সঙ্গে পিরানহা ও আফ্রিকান মাগুর মাছ সংগতিপূর্ণ নয়। এগুলো রাক্ষুসে স্বভাবের। অন্য মাছ ও জলজ প্রাণীদের খেয়ে ফেলে তারা। দেশীয় প্রজাতির মাছ তথা জীববৈচিত্র্যের জন্য এগুলো হুমকিস্বরূপ। এ কারণে সরকার ও মৎস্য অধিদপ্তর আফ্রিকান মাগুর ও পিরানহা মাছের পোনা উৎপাদন, চাষ, উৎপাদন, বংশ বৃদ্ধিকরণ, বাজারে ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে। তিনি আরো জানান, ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পিরানহা এবং ২০১৪ সালের জুন থেকে আফ্রিকান মাগুরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। বেশি মুনাফার জন্য কিছু বিক্রেতা এরপরও লুকিয়ে মাছগুলো বিক্রি করছে। বাজারগুলো মনিটরিং করে,তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরো খবর