সরেজমিনে ধানমন্ডি ১৫ নম্বর, রায়ের বাজার ও মোহাম্মদপুর টাউন হলের ঘুরে দেখা যায়, বাজারে উঠেছে রসালো ফল তরমুজ। তিন থেকে দশ কেজি পর্যন্ত ওজনের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। যে তরমুজ ছোট সেগুলোর দাম একটু কম। আবার যে তরমুজের ওজন বেশি, সেগুলোর দামও একটু বেশি। ক্রেতাদের আশ্বস্ত করতে ব্যবসায়ীরা কেটে দেওয়ার গ্যারান্টিও দিচ্ছেন। তরমুজ কেটে চির করে লাল অংশও দেখিয়ে দিচ্ছেন। তবে, কেটে নেওয়া তরমুজের কেজি ৮০ টাকা রাখা হচ্ছে।
রায়ের বাজারের তরমুজের ক্রেতা মো. মজিবুর রহমান বলেন, প্রতি কেজি তরমুজ ৮০ টাকা দাম হিসেবে বেশি। প্রথম কথা হলো, তরমুজ তো কেজি হিসেবে বিক্রি করার কথা না। বেশি দামে কিনলে পিস হিসেবে বেশি দামে বিক্রি করুক। তারা কেজি হিসেবে বিক্রি করবে কেন? আড়ত থেকে তারা পিস হিসেবে কিনে এনে কেজি হিসেবে বিক্রি করবে। সরকারকে এগুলো দেখতে হবে। এ দেশের মানুষ ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি।
একই বাজারের তরমুজ বিক্রেতা মো. সলেমান শেখ বলেন, আমরা প্রতি কেজি তরমুজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছি। কেজি আর পিসে তেমন পার্থক্য নেই। কেউ চাইলে পিসেও নিতে পারবে।
রায়ের বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, আপেল, কমলা ও মাল্টাসহ অন্যান্য ফলের পাশাপাশি বাজারে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। কেউ বিক্রি করছেন ছোট তরমুজ, আবার কেউ বিক্রি করছেন বড় তরমুজ। ছোট তরমুজ ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার বড় তরমুজ ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েকজন ক্রেতাকে দাম কষাকষি করে তরমুজ কিনতে দেখা যায়। তরমুজের ভরা মৌসুম না হওয়ায় অনেক সময় কাটার পর তরমুজ সাদাও দেখা গেছে। আবার কিছু কিছু তরমুজের ভেতর লালও দেখা গেছে।
মৌসুমের তুলনায় বর্তমানে তরমুজের দাম একটু বেশি বলে স্বীকার করেন ধানমন্ডি-১৫ নম্বরের ফলের দোকানদার আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের একটু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।
আড়ত থেকে কেজি দরে না পিস হিসেবে ক্রয় করেছেন? জানতে চাইলে এই তরমুজ বিক্রেতা বলেন, আমি পিস হিসেবেই ক্রয় করেছি। তবে নতুন ফল হিসেবে দাম অনেক বেশি।
মোহাম্মদপুর টাউন হলের বিক্রেতারা জানান, আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি তরমুজ ৬০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একেকটি তরমুজের ওজন দুই কেজি থেকে প্রায় আট কেজি পর্যন্ত।
তরমুজের দাম গতবারের তুলনায় এবার বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে একজন বিক্রেতা বলেন, তরমুজের মৌসুম এখনো আসেনি। মাত্র পাকতে শুরু করেছে। আরও ২০-২৫ দিন পরে তরমুজের মৌসুম এলে দাম কমে যাবে।
বদিউর রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজাতে মাত্র তো তরমুজ উঠতে শুরু করেছে। তাই দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে। পিস হিসেবে বিক্রি করলে দাম কমে যেত। কিন্তু ব্যবসায়ীরা কেজি হিসেবে বিক্রি করছে। আর কেউ পিস হিসেবে নিতে চাইলে কেজির চেয়েও বেশি দাম বলছে। পিস হিসেবে চাইলে ব্যবসায়ীরা রাগ করেন মনে হয়।