• ঢাকা, বাংলাদেশ শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
চলে গেলেন বরেন্দ্রের প্রাণ পুরুষ ড. আসাদুজ্জামান বালু ও মাটি দস্যুতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বাঘায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাবার মৃত্যু: মেয়ের পা বিচ্ছিন্ন চাঁপাইনবাগঞ্জে খাস জায়গায় দোকানঘর নির্মাণের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ রাকসু নির্বাচন ও শতভাগ আবাসনের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আ’লীগের স্থগিতাদেশ বাতিল বা প্রত্যাহার না হলে নির্বাচনের সুযোগ নেই: ইসি মাছউদ ডিবি’র অভিযানে ১৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার রাজশাহীতে ১৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকায় হবে দুদকের কার্যালয় তানোরে তিন সপ্তাহ নিরুদ্দেশ যুবকের বস্তাবস্তি মরদেহ উদ্ধার ফারাক্কার প্রভাব: পদ্মায় ঢেউ নেই, আছে ধু ধু বালুচর
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

শনিবার থেকে ৩ মাস সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

রাজশাহী সংবাদ ডেস্ক
সর্বশেষ: শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪

মাছ ও বন্যপ্রাণীর বংশবৃদ্ধি, বিচরণ এবং প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় সুন্দরবনে টানা তিন মাসের জন্য দর্শনার্থী ও বনজীবিদের প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করেছে বন বিভাগ। শনিবার (১ জুন) থেকে শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বনের দুয়ার।

ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী প্রজনন ঋতুতে সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ও প্রাণীদের বিচরণ এবং প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় সরকারি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জুন থেকে থেকে আগস্ট এই তিন মাস সুন্দরবনের নদী-খালের মাছের প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এই সময়ে সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা বেশির ভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। এ ছাড়া এই সময়ে বন্য প্রাণীদেরও প্রজনন মৌসুম। তাই সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকত। পরে ২০২২ সালে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নিষেধাজ্ঞা এক মাস বৃদ্ধি করে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। সেই থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস বনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, বনের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় আইআরএমপি‘র সুপারিশ অনুযায়ী আগামী তিন মাস সুন্দরবনে সব ধরনের প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এই সময়ে জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের পাশও বন্ধ থাকবে। কোনোভাবে অবাঞ্ছিত কেউ বনে প্রবেশ করতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞার সময়ে বনে যাতে কোনো প্রকার অন্যায় অপরাধ সংগঠিত হতে না পরে, সে জন্য বন বিভাগ সতর্ক থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

বন বিভাগের মতে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে নানা নাম ও আকারের ৩৪৪ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরী এবং গেওয়া গাছের আধিক্য বেশি। এছাড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার, বানর, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২৯০ প্রজাতির পাখি, ১২০ প্রজাতির মাছ, ৩৫টি সরীসৃপ, আট প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে মধ্যে দুই প্রজাতির উভচর, ১৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৫ প্রজাতির পাখি এবং পাঁচ প্রজাতির স্তন্যপায়ী বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনে প্রবেশ তিন মাস বন্ধ থাকবে। তবে এই সময়ে জেলেদের মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।


আরো খবর