• ঢাকা, বাংলাদেশ শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

শিবগঞ্জ উপজেলা জুড়ে ইস্তিসকার নামাজ আদায়: প্রচন্ডতাপদাহে বৃষ্টি কামনায় মোনাজাতে  মুসল্লিদের কান্নার রোল

শিবগঞ্জ প্রতিনিধি
সর্বশেষ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

তীব্র দাবদাহ, প্রচন্ডগরম, কাঠফাটা রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা জুড়ে বৃষ্টি কামনায় বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইস্তিসকার) আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণী মুসল্লিরা। নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য কান্নায় ভেঙে পড়ে মহান রব্বুল আলামিনের দরবারে বৃষ্টি ভিক্ষা করেন মুসল্লিরা।
শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনির পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলামের উদ্যোগে বৃহষ্পতিবার সকাল ৮টায় শ্যামপুর ইউনিয়ন কাউন্সিল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেন ইউনিয়নবাসী।
নামাজের ইমামতিত্ব করেন বিনোদপুর আলিম মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক মাওলানা মো. সুলতান আলী। এসময় উপস্থিত ছিলেন, শ্যামপুর ইউনির পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল হোদা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক একরামুল হক, শরৎনগর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আব্দুল মালেক, ওয়ার্ড সদস্য রাইহান আলী, উপজেলা শাখা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম।
অন্যদিকে, স্থানীয় তরুন-যুব সমাজের আয়োজনে সকাল ১০টায় উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন সোনামসজিদ-পিরোজপুর গ্রামে একটি আম বাগানে মহান রব্বুল আলামিনের দরবারে বৃষ্টি কামনায় দ্বিতীয় দিনের মতো ইস্তিকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতিত্ব ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. আব্দুস সাত্তার। নামাজ (সালাতুল ইস্তিসকা) আদায়ের জন্য উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা ছুটে
আসেন সোনামসজিদ এলাকায়।এছাড়া একই সময় চককীর্ত্তি হাইস্কুল এন্ড কলেজ মাঠে মাওলানা তৈমুর রহমানের ইমামতিত্বে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেন অত্র ইউপিবাসী।
অপরদিকে, সকাল সোয়া ১০টার দিকে বিনোদপুর ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামের একটি আম বাগানে স্থানীয়দের উদ্যোগে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেন গ্রামবাসী। এই নামাজে ইমামতিত্ব করেন ছত্রাজিতপুর ফাযিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নুরুল ইসলাম।এদিকে, শিবগঞ্জ আম বাজারে গ্রামবাসী আয়োজনে বেলা ১১টায় ইস্তিসকার নামাজ পড়েন এলাকাবাসী। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইস্তিসকার নামাজ আদায়ের সংবাদ পাওয়া যায়। ইমামগণ বলেন, হাদিসে এসেছে যখন এমন উত্তপ্ত আবহাওয়া হতো রাসূলুল্লাহ (সা.) ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন।
গত কয়েকদিনের দাবদাহে মানুষ অতিষ্ঠ হয়েছে। প্রাণীরা মরণাপন্ন হয়েছে। এই জন্য আমরা সুন্নতের আমল হিসেবে সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় করলাম। যেন আল্লাহ্ তা’য়ালা এই উসিলায় দেশের এই আবহাওয়াকে পরিবর্তন করে সুশীতল করে দেয়। আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলাম, তওবা করলাম, বৃষ্টির জন্য দোয়া করলাম। নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচন্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠ-ঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ। এই অবস্থায় বৃষ্টি হওয়াটা খুব দরকার।
বৃষ্টি হলে গরম কমে যাবে। আল্লাহ্ তা’আলা সালাতের মাধ্যমে বৃষ্টি বা পানি চাইতে বলেছেন। তাই আমরা সবাই একত্রে নামাজ আদায় করেছি।নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে  মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।


আরো খবর