ঈদুল ফিতর আসন্ন। আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ। তাই মানুষের হাতে সময় খুব কম। এখনও কেনাকাটা করে উঠতে পারেন নি অনেকেই।শেষ মুহুর্তে তাই বাজারগুলোতে ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কাপড়চোপড় কিনতে গার্মেন্টস কিংবা থান কাপড়ের দোকান, জুতাস্যান্ডেল ক্রয়ে , কসমেটিকস সামগ্রী কিনতে ভীড় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দোকানগুলো।সেমাই, চিনি, তেল, মসলার বাজার করা নিয়েও ব্যস্ত অনেকে। ঈদের দিনে নিজে খাওয়ার আনন্দ ছাড়াও রয়েছে আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের আপ্যয়ন।
এছাড়া মাংসের দোকানগুলোতেও ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেউবা আগেভাগেই কিনে রেখে দিচ্ছেন ফ্রিজে। আবার কেউ কেউ অগ্রীম অর্ডার দিয়ে রাখছেন। সব মিলিয়ে উপজেলার গোমস্তাপুর বাজার, চৌডালা বাজার, বোয়ালিয়া বাজার , যাতাহারা বাজার সহ রহনপুর পৌর এলাকার রহনপুর বাজার, স্টেশন বাজার, কলনী মোড়, খোয়াড় মোড়, কলেজ মোড়ের বিভিন্ন দোকানপাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভীড় জমে উঠেছে।
সরেজমিন ঘুরে এর সত্যতা নিশ্চিত করা গেছে।ঈদ বাজার নিয়ে কথা হয় ব্যবসায়ী, খদ্দের দের সাথে। এদের মধ্যে জুতা স্যান্ডেল ব্যবসায়ী রবিউল, নাদিম, রনি, কাপড় ব্যবসায়ী নুর, ফারুক, রহমান,কসমেটিকস এর জিল্লুর, সুমন, রাকিব তাদের ব্যবসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।বাকী সময়টাতে আরো ভাল কিছু আশা করছেন তারা।
মাংস ব্যবসায়ী খুরশেদ, কালাম, হাবল ভাল কিছু প্রত্যাশা করছেন। তবে ইদানীং পাড়ায় পাড়ায় টাকা জমা করে প্রতিবেশী সকলে মিলে একসাথে গরু কিনে জবেহ করে মাংস ভাগ করে নেওয়ার কারণে বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
গ্রাহক নাজিম, নাফিস ইতিমধ্যেই তাদের কেনাকাটা শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।আর অল্প রয়েছে। সেটাও সেরে ফেলবে। আফরোজা, পপি এরাও বসে নেই। রনি, সুমন ও ব্যস্ত। তবে দাম নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ তো রয়েছেই। রহনপুর স্টেশন বাজার কে আলোকিত করা হয়েছে।ঈদ সামনে রেখে স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী বহুমুখী কল্যাণ সমিতির আয়োজনে এটি করা হয়েছে। রহনপুর পৌরসভা এতে সহায়তা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।