• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

সবাইকে বলছি শুধু ভোট দিতে আসেন: আরাফাত

রিপোর্টার নাম:
সর্বশেষ: সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০২৩

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। গুলশান মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সোমবার বেলা ১১টার দিকে ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের মাধ্যমে ভোটারদের এ আহ্বান জানান তিনি। আরাফাত বলেন, ‘আমরা সবাইকে বলছি শুধু ভোট দিতে আসেন।’ নিজের ভোট দেয়ার অনুভূতি নিয়ে এ প্রার্থী বলেন, ‘ভোট তো সব সময় নৌকায় দিয়েছি। ভোট দিয়ে ভালো লাগছে, তবে নৌকায় ভোট দেয়াটা বড় কথা আমার জন্য।’ খবর: নিউজবাংলা

ভোটের পরিবেশ কেমন দেখছেন জানতে চাইলে আরাফাত বলেন, ‘আমি সকালবেলায় কয়েকটা জায়গায় ঘুরেছি এবং খোঁজ নিয়েছি। সকালবেলায় বৃষ্টি পড়েছে। সে কারণে ভোটের উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। গুলশান, বনানী এবং বারিধারার লোকজন এমনিতেই দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে। সে কারণে ভোটার উপস্থিতি সকালের দিকে কিছুটা কম, তবে কালাচাঁদপুর, নর্দা, ভাষানটেক, মাটিকাটা, মানিকদী এসব এলাকায় ভোটার উপস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। আর এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ মনে হচ্ছে, তবে এখন পর্যন্ত ভালো ভোট পড়েছে বলে আমি মনে করছি।’

জয়ের বিষয়ে কেমন আশাবাদী, এ প্রশ্নের জবাবে এ আরাফাত বলেন, ‘আমরা সবাইকে বলছি শুধু ভোট দিতে আসেন। আমরা কিন্তু এটা কাউকে বলছি না যে, নৌকায় ভোট দিন। কারণ আমরা জানি মানুষ ভোট দিতে আসলে ভোট নৌকায় পড়বে। তাই আমাদের চেষ্টা হচ্ছে মানুষকে ভোট দিতে নিয়ে আসা।

‘যেহেতু ৫ মাস পর জাতীয় নির্বাচন, সে ক্ষেত্রে মানুষের কিছুটা ভোটদানে অনীহা থাকতে পারে। সেখানে আমরা মানুষের ভোটের প্রতি আগ্রহ গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি যথেষ্ট পরিমাণ ভোট আমরা সংগ্রহ করতে পারব। আর বাংলাদেশে নৌকার বিজয় হবে। এটার কোনো বিকল্প নেই।’

ভোটারদের কেন্দ্রে আনার বিষয়ে প্রার্থীদের দায়িত্ব কতটুকু থাকা দরকার, সে বিষয়ে জানাতে চাইলে এ আরাফাত বলেন, ‘আমি শুধু আমার বিষয়টা বলতে পারব। বাকি প্রার্থীদের কথাটা আমি বলতে পারব না, তবে আমি ক্যাম্পেইনে একটা বিষয়ে খুব জোর দিয়েছি। সেটা হচ্ছে ভোটারদের আমরা বারবার বলেছি আপনারা শুধু ভোট দিতে আসুন।

‘এমনকি সাংগঠনিকভাবে সবসময় আমাদের মধ্যে আলোচনা ছিল যে, আমরা কেন্দ্রগুলোতে কত বেশি ভোটার নিয়ে আসতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় ছিল যে, যেহেতু পাঁচ মাসের নির্বাচন, সে ক্ষেত্রে ভোটারদের অনীহা বেশি থাকে। পাশাপাশি আরেকটা অনীহা তৈরি হয়, যখন নৌকার এত ভোট, তখন সবাই ভাবে যে আমি ভোট না দিলে কী হবে, কেউ না কেউ তো নৌকায় ভোট দিবে। তিনি ভাবেন যে নৌকায এত জনপ্রিয়, জিতে যাবে, তবে আমি বলব, এই জনপ্রিয়তা ভালো, কিন্তু ভোটের ক্ষেত্রে এই জনপ্রিয়তাকে ব্যালটে নিয়ে আসতে অনেক চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়। মূলত এই ঢাকা-১৭ আসনের পুরা নির্বাচন এই চিন্তাটাই আমার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল।’

নানা কারণে বাকি প্রার্থীরা তাদের এজেন্ট কেন্দ্রগুলোতে দিতে পারেনি। এ বিষয়ে আরাফাত বলেন, ‘এখানে আসলে আমার কিছু বলার নাই, তবে এখানে ১২৪টা ভোটকেন্দ্র আছে আর বুথ আছে ছয় শর বেশি। সাধারণত দেখা যায় কোনো প্রার্থীর কমপক্ষে ৬০০ এজেন্ট থাকতে হবে, যদি তারা সবগুলো কেন্দ্রে তাদের এজেন্ট দিতে চায়।

‘পাশাপাশি কোনো প্রার্থীর যদি সাংগঠনিক শক্তি না থাকে তাহলে সে এত পরিমাণের এজেন্ট দিতে পারে না, তবে আওয়ামী লীগের সেই সাংগঠনিক শক্তি আছে।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন প্রতিটা কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের যে পরিমাণ এজেন্ট আছে, কেবল তারা এবং তাদের আত্মীয়রা যদি ভোট দেন, তাহলেই তো নৌকায় ২০ থেকে ২৫ হাজার ভোট এমনিতেই পড়ে যাবে। আমি বলব নৌকা এতটাই শক্তিশালী সংগঠন। এ ক্ষেত্রে আমি বলব আমরা আমাদেরকে নিয়ে বেশি ফোকাস করেছি এবং ভোট শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠুভাবে করার চেষ্টা করেছি।’

 

নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত কত শতাংশ ভোট পড়বে বলে মনে করেন জানতে চাইলে আরাফাত বলেন, ‘কত শতাংশ ভোট পড়বে, সেই সংখ্যাটা আসলে বলতে চাই না, তবে আপনারা অন্যান্য উপনির্বাচনগুলোতে দেখেছেন যে, খুব অল্প পরিমাণে ভোট পড়েছে, তবে আমাদের চেষ্টা ছিল সেই ভোটদানের পরিমাণটা বাড়ানো। আর সেটা আমরা চেষ্টা করেছি।’

নৌকা যদি নির্বাচিত হয়, তাহলে এই পাঁচ মাসে কী করবেন জানতে চাইলে এ আরাফাত বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে বাই এনি চান্স হব না, নির্বাচিত হব মানুষের ভোটে, তবে পাঁচ মাস আসলে খুবই অল্প সময়। এই অল্প সময়ে অনেক কিছু শুরু করা যায়।

 

‘আমি নির্বাচনের প্রচারণায় বিভিন্ন এলাকায় যে সকল সমস্যাগুলো দেখেছি ইতোমধ্যে চিন্তাভাবনা শুরু করেছি কীভাবে এসব সমাধান করা যায়। কাজেই কিছু কিছু কাজ আছে যেগুলো আমি শুরু করে দেব যদি নির্বাচিত হই এবং পাঁচ মাস পর যেহেতু জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে, তখন যদি আমি আবার মনোনয়ন পাই, তখনও আমি ধারাবাহিকভাবে সেই কাজগুলো শুরু করে দেব।’


আরো খবর