শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর শ্যাম বাজার, সূত্রাপুর, ধূপখোলা মাঠ, রায়সাহেব ও নয়াবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নির্ধারিত দাম না মানার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতিরিক্ত গাড়িভাড়া ও ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে দাম কমানো সম্ভব নয়।
আজ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি আলু মানভেদে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করলা ১০০, পটল ১০০, ঝিঙা ৮০, টমেটো ৬০/৭০ টাকা, শিম ৪০/৬০, শসা ৬০ টাকা, ক্ষিরা ৫০ টাকা, মরিচ ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ধনে পাতা ৮০/১০০ টাকা, পেঁয়াজ কলি ৪০ টাকা, আদা ২০০ টাকা, রসুন ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি হালি লেবু ৩০/৬০ টাকা, প্রতিটি ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারেও পূর্বের মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাংস। গরু প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা, বকরির মাংস ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।
মুরগির মাংসের মধ্যে ব্রয়লার আস্ত প্রতিকেজি ২২০ টাকা এবং কাটা ৩২০ টাকা। সোনালি মুরগি আস্ত প্রতি কেজি ৩৫০টাকা এবং দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারও একই অবস্থা। প্রতি কেজি রুই মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০ টাকা, পাঙাস মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, টেংরা মাছ ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পুঁঠি মাছ ৫০০ টাকা, মেনি মাছ ৬০০ টাকা, বেলে মাছ ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় মাছ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, চিতল মাছ ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মুদি বাজারে মধ্যে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি মুগডাল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, মুসুর ডাল ১১০ থেকে ১৩৫ টাকা, মটরডাল ১৬০ টাকা, খেসারি ডাল ১৪০ টাকা এবং ছোলা ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল, প্রতি কেজি চিনি টাকা। ডিম প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির লাল ডিম ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। সাদা ডিম হালি ৪০ টাকা এবং হাঁসের ডিম হালি ৬০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম হালি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে রায়সাহেব বাজারের আদর স্টোরের সেলসম্যান মো. রুবেল বলেন, সরকার গতকাল ২৯টি খাদ্য পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সেটা টিভিতে দেখছি। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত কমদামে বা সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য কিনতে পারিনি। এজন্য আমরা আগের দামেই পণ্য বিক্রি করছি। আমরা প্রতি কেজি মুগডাল ১৬০ টাকা, মুসুর ১১০ থেকে ১৩৫ টাকা, মাসকালাই ডাল ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, মটরডাল ১৬০ টাকা, ছোলার ডাল ১১০ টাকা, খেসারি ডাল ১৪০ টাকা। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮৫ টাকা, চায়না রসুন ২০০ টাকা, দেশি রসুন ১৫০ টাকা এবং চায়না আদা ১৮০ টাকা, কেরালা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
রায়সাহেব বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আব্দুল মতিন বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা আগের দামেই বিক্রি করছি। দাম নির্ধারণ করে কি আর বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে? আলু আজকে কিনে আনছি ৩২ টাকা ৫০ টাকা কেজি। পাইকারি বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে৷ গাড়ি ভাড়াও কিলোমিটার অনুযায়ী নির্ধারণ করে দেন তাহলে দাম কমে যাবে।
সূত্রাপূর বাজারের মুরগি মাংস বিক্রেতা মো. আব্দুস সালাম বলেন, সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে শুনেছি। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত সে মাল পাইনি। আজকে সকালে মাল কিনেছি আগের দামেই। আমরা এখন ব্রয়লার মুরগির কাটা মাংস প্রতিকেজি বিক্রি করছি ৩২০ টাকায়। যা আগে ছিল ৩৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি আস্ত বিক্রি করছি ২২০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। সরকারের নির্ধারিত দাম বাস্তবায়ন হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। আড়তদার যে দাম রাখে তার ওপর নির্ভর করে বিক্রি করি। আজকে আড়ত থেকে ১৭৫ টাকা কেজিতে মাল এনে কত টাকায় বিক্রি করবো বলেন? এর সাথে লেবার খরচ, গাড়িভাড়া, খাবার খরচ যোগ করে আমাদের লাভ তো করতে হবে।
সূত্রাপুর বাজারে ডিম বিক্রেতা মো. সোহরাব হোসেন বলেন, দাম নির্ধারণ করে দেওয়ায় আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। আমরা সঠিক দামে যাতে কিনতে পারি এখন সেটা বাস্তবায়নে সরকারকে জোড় দিতে হবে। শুধু দাম নির্ধারণ করে দিলে হবে না, বাস্তবায়ন করতে হবে। বর্তমানে প্রতি হালি ব্রয়লারের সাদা ডিম ৪০ টাকা, লাল ৪৫ টাকা, হাঁস ৬০ টাকা, দেশি ৬৬ থেকে ৭০ টাকা হালি বিক্রি করছি৷
শ্যামবাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা মো. আলী আকবর বলেন, আমাদের কাছে এখনও দাম আসেনি। দাম এলে সেই দামেই বিক্রি করব। বর্তমানে আমরা ৭৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছি৷
শ্যামবাজারে আদা, পেঁয়াজ রসুনবিক্রেতা কালাম বলেন, চায়না আদা ১৮০ টাকা, কেরেলার আদা ২২০, রসুন ২০০ টাকা, দেশি রসুন ১৫০, পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮৫ টাকা,আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। সরকার দাম নির্ধারণ করেছে গতকাল সন্ধ্যায়। আমরা মাল কিনেছি গতকাল সকালে তাহলে কি লস দিয়ে বিক্রি করব? আমাদেরকে বলে লাভ নেই। পাইকারদের ধরতে বলেন সব ঠিক হয়ে যাবে।
ধূপখোলা মাঠ বাজারের মাছ বিক্রেতা মো. সুমন বলেন, সরকার তো শুধু মাছের মধ্যে কাতল আর পাঙাসের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। সরকারকে বলেন ঘাটে আসতে। আমরা তাদের কাছ থেকে মাছ কিনব। তারপর তাদের নির্ধারিত দামে বিক্রি করব। আর বলেন রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে।
ধূপখোলা মাঠের সবজিবিক্রেতা ওসমান গণি বলেন, সরকারের দামে তো আমরা আনতে পারি না৷ আড়ত থেকে বেশি দামে কিনি, বেশি দামে বিক্রি করি। আমাদের এতে সামান্য কিছু লাভ থাকে। আসলে সরকার কাঁচাপণ্যের দাম নির্ধারণ করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আগে চাঁদাবাজদের ঠেকাতে হবে। তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরবরাহ ও চাহিদা বাজারে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে। মুক্তবাজারের সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি না হলে নির্ধারণ করে দিয়ে মূল্য কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় থেকে যায়। সবচেয়ে বড় কথা ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি হচ্ছে। সেটা বন্ধে সরকারকে আগে নজর দিতে হবে৷
গতকাল শুক্রবার সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিমের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ৪ (ঝ) ধারার ক্ষমতাবলে কতিপয় নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দামে কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
নতুন নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী মুগ ডালের পাইকারি বাজার মূল্য হবে ১৫৮ দশমিক ৫৭ টাকা ও খুচরা ১৬৫ দশমিক ৪১ টাকা। এ ছাড়া মাসকলাইয়ের পাইকারি বাজার মূল্য ১৪৫ দশমিক ৩০ টাকা ও খুচরা ১৬৬ দশমিক ৪১, ছোলার (আমদানিকৃত) পাইকারি বাজার মূল্য ৯৩ দশমিক ৫০ টাকা ও খুচরা ৯৮ দশমিক ৩০, মসুরডাল (উন্নত) পাইকারি বাজার মূল্য ১২৫ দশমিক ৩৫ টাকা ও খুচরা ১৩০ দশমিক ৫০, মসুরডাল (মোটা) পাইকারি বাজার মূল্য ১০০ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ১০৫ দশমিক ৫০, খেসারির ডাল পাইকারি বাজার মূল্য ৮৩ দশমিক ৮৩ টাকা ও খুচরা ৯২ দশমিক ৬১।
পাঙাশ (চাষের মাছ) পাইকারি বাজার মূল্য ১৫৩ দশমিক ৩৫ টাকা ও খুচরা ১৮০ দশমিক ৮৭, কাতল (চাষের মাছ) পাইকারি বাজার মূল্য ৩০৩ দশমিক শূন্য ৯ টাকা ও খুচরা ৩৫৩ দশমিক ৫৯।
গরুর মাংস কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৬৩১ দশমিক ৬৯ টাকা ও খুচরা ৬৬৪ দশমিক ৩৯, ছাগলের মাংস পাইকারি বাজার মূল্য ৯৫২ দশমিক ৫৮ টাকা ও খুচরা ১০০৩ দশমিক ৫৬, ব্রয়লার মুরগি পাইকারি বাজার মূল্য ১৬২ দশমিক ৬৯ টাকা ও খুচরা ১৭৫ দশমিক ৩০, সোনালি মুরগি পাইকারি বাজার মূল্য ২৫৬ দশমিক ১০ টাকা ও খুচরা ২৬২। ডিম (পিস) পাইকারি বাজার মূল্য ৯ দশমিক ৬১ টাকা ও খুচরা ১০ দশমিক ৪৯।
দেশি পেঁয়াজ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৫৩ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ৬৫ দশমিক ৪০, দেশি রসুন কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৯৪ দশমিক ৬১ টাকা ও খুচরা ১২০ দশমিক ৮১, আদা আমদানিকৃত পাইকারি বাজার মূল্য ১২০ দশমিক ২৫ টাকা ও খুচরা ১৮০ দশমিক ২০, শুকনো মরিচ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৫৩ দশমিক ২৬ টাকা ও খুচরা ৩২৭ দশমিক ৩৪, কাঁচামরিচ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৪৫ দশমিক ৪০ টাকা ও খুচরা ৬০ দশমিক ২০।
এছাড়া বাঁধাকপি কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৩ দশমিক ৪৫ টাকা ও খুচরা ২৮ দশমিক ৩০, ফুলকপি কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৪ দশমিক ৫০ টাকা ও খুচরা ২৯ দশমিক ৬০, বেগুন কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৩৮ দশমিক ২৫ টাকা ও খুচরা ৪৯ দশমিক ৭৫, সিম কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৪০ দশমিক ৮২ টাকা ও খুচরা ৪৮, আলু কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৩ দশমিক ৩০ টাকা ও খুচরা ২৮ দশমিক ৫৫, টমেটো কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৩০ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ৪০ দশমিক ২০, মিষ্টি কুমড়া কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ১৬ দশমিক ৪৫ টাকা ও খুচরা ২৩ দশমিক ৩৮, খেজুর জাহিদি পাইকারি বাজার মূল্য ১৫৫ দশমিক ৫৩ টাকা ও খুচরা ১৮৫ দশমিক ০৭, মোটা চিড়া পাইকারি বাজার মূল্য ৫২ দশমিক ৭৫ টাকা ও খুচরা ৬০, সাগর কলা হালি পাইকারি বাজার মূল্য ২২ দশমিক ৬০ টাকা ও খুচরা ২৯ দশমিক ৭৮ ও বেসন পাইকারি বাজার মূল্য ৯৯ দশমিক ০২ টাকা ও খুচরা ১২১ দশমিক ৩০ টাকা।
পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে পণ্যগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১৪৫ টাকা ৭৮ পয়সা। তা উৎপাদক পর্যায়ে ১৫১ টাকা ৮১ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১৬২ টাকা ৬৯ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সা দরে বিক্রি করতে হবে। একইভাবে গরুর মাংসের উৎপাদন খরচ ৫৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। উৎপাদক পর্যায়ে গরুর মাংসের কেজি ৬০৫ টাকা ১৩ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ৬৩১ টাকা ৬৯ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর মধ্যে খুচরা বাজারে সাধারণ মানের খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে বাজারে এর বাস্তবায়ন দেখা যায় না। এর আগেও সয়াবিন তেল, চিনিসহ কয়েকটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার।
তবে এই ২৯টি পণ্যের নতুন নির্ধারিত দাম বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র দে বলেন, এই ২৯টি পণ্যের মূল্য সব অংশীজনের সঙ্গে আলাপ করে নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে এর বাস্তবায়ন সম্ভব।