গত বছরের ৯ মে গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তান জুড়ে সহিংসতার ঘটনায় দায়েরকৃত আরও দুটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় আদালত তাকে দুটি মামলা থেকে খালাস দেন।
সম্প্রতি ইমরান খান ২০২২ সালের ২৫ মে অনুষ্ঠিত ‘আজাদি মার্চ’ সম্পর্কিত দুটি মামলা থেকেও খালাস পেয়েছেন।
পিটিআই-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পাকিস্তান জুড়ে সহিংসতাসহ একাধিক মামলায় আদিয়ালা জেলে বন্দি রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার শাহজাদ টাউন থানায় দায়েরকৃত দুটি মামলায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে সহিংসতায় উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
রাষ্ট্রপক্ষ ইমরান খানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থিত করতে না পারায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উমর শাব্বির দুটি মামলা থেকে খালাস দেন।
শুনানির সময় ইমরান খানের আইনজীবী বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলাগুলো অননুমোদিত ব্যক্তির দ্বারা দায়ের করা হয়েছিল।
ওই আইনজীবী দাবি করেন, ইমরান খানের বিরুদ্ধে পাকিস্তান দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা ভুলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। কারণ এমন কোনো প্রমাণ নেই, তিনি জনসাধারণকে সহিংসতায় উৎসাহ দিয়েছিলেন।
ইসলামাবাদের বিভিন্ন থানায় ইমরানের খানের বিরুদ্ধে ৯ মের সহিংসতার ঘটনায় ছয়টি মামলা করা হয়েছিল। এসব মামলা তার বিরুদ্ধে মহাসড়ক অবরোধ করে জনগণকে উসকানি দেওয়া এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ২০২৩ সালের ৯ মে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করে।
গত বছর এপ্রিলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত হন ইমরান খান।
ওই সময় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তারে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আটজন নিহত হন।
বিক্ষোভকারীরা ইসলামাবাদের একটি পুলিশ কার্যালয়ে, লাহোরের একটি পুলিশ স্টেশনে, পেশোয়ারের রেডিও পাকিস্তানের ভবনে এবং লোয়ার দিরের চাকদারায় স্কাউটস ফোর্টে বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়।