বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট জানতে অনেক জুনিয়র সেনা কর্মকর্তা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ভোটের কয়েক মাস আগে দু-তিনজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমাকে পরামর্শ দেন নতুন দল করার। সরকারের পক্ষ থেকেও কয়েকজন ভেবেছিলেন আমি বিএনপি ছাড়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।
সাবেক কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা বিএনএম গঠন করেন বলে জানান মেজর হাফিজ। তিনি বলেন, তারা আমাকে সেখানে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান এবং তারাই সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আসেন। সাকিবকে আমার কাছে নিয়ে এলে আমি তাকে বলি, রাজনীতি করা তোমার বিষয়, তুমি এখনো খেলাধুলা করছো, রাজনীতি করবে কি না ভেবে দেখো। আমার কাছ থেকে উৎসাহ না পেয়ে সে চলে যায়। এ ঘটনা নির্বাচনের চার-পাঁচ মাস আগের।
মেজর হাফিজ বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গন এখন নিস্তরঙ্গ। সেই নিস্তরঙ্গ আবহাওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে একটি ছবি, আমার আর সাকিব আল হাসানের ছবি। এটি নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে কয়েকটি সংবাদপত্র নানা ধরনের সংবাদ পরিবেশন করছে, যাতে করে আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। দেশে কত অপকর্ম করে যাচ্ছে এই সরকার। একতরফা ডামি নির্বাচন করল, এ নিয়ে তো পত্রিকায় কিছু দেখি না। দেশে ব্যাংকিং খাতে লুটপাট চলছে কয়েক বছর ধরে, এসব নিয়ে কোনো রিপোর্ট দেখি না। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের কেন কূল-কিনারা হচ্ছে না। যেসব পত্রিকা আমাকে নিয়ে বিষোদগার করে, তাদের এখানে এ নিয়ে কিছু দেখি না।
বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমার মনে হয়, সরকারের বিভিন্ন অপকর্ম লুকিয়ে রেখে, জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র নিতে আমার বিরুদ্ধে এ বিএনএম সৃষ্টির কাল্পনিক কাহিনীর অবতারণা চালানো হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনে কাউকে পাঠাইনি।