• ঢাকা, বাংলাদেশ শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
চলে গেলেন বরেন্দ্রের প্রাণ পুরুষ ড. আসাদুজ্জামান বালু ও মাটি দস্যুতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বাঘায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাবার মৃত্যু: মেয়ের পা বিচ্ছিন্ন চাঁপাইনবাগঞ্জে খাস জায়গায় দোকানঘর নির্মাণের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ রাকসু নির্বাচন ও শতভাগ আবাসনের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আ’লীগের স্থগিতাদেশ বাতিল বা প্রত্যাহার না হলে নির্বাচনের সুযোগ নেই: ইসি মাছউদ ডিবি’র অভিযানে ১৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার রাজশাহীতে ১৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকায় হবে দুদকের কার্যালয় তানোরে তিন সপ্তাহ নিরুদ্দেশ যুবকের বস্তাবস্তি মরদেহ উদ্ধার ফারাক্কার প্রভাব: পদ্মায় ঢেউ নেই, আছে ধু ধু বালুচর
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

সান্তাহার জংশন স্টেশনে কর্মহীন কুলি শ্রমিকরা; আশ্রয়হারা ছিন্নমুল মানুষ!

আদমদীঘি প্রতিনিধি
সর্বশেষ: বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলন ও চলমান কারফিউয়ের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার  সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ টাকা করে আয় কমেছে। এতে ১৯ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত গত ১১ দিনে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩৩ লাখ টাকার মতো আয় কমেছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।
সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্রে জানা যায়, পশ্চিমাঞ্চল রেলেওয়ের এই বৃহত্তম সান্তাহার জংশন স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন জেলার হাজারো মানুষ যাতায়াত করে থাকে। ত্রি-মুখী রেলের সংযোগস্থল এ জংশন স্টেশনে ৪৬টির মতো ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে আন্তঃনগর ৩৬টি,
বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কারনে রেলওয়ে সম্পদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মূল গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্যস্ততম এই রেল স্টেশনের চারদিক বর্তমানে নীরবতা। এমন পরিস্থিতিতে বেশ দুর্ভোগে পড়েছেন ট্রেন যাত্রীরা। প্ল্যাটফরমের সকল দোকানপাট বন্ধ, নেই কুলি
শ্রমিকরাও। বেকায়দায় রয়েছেন ছিন্নমুল মানুষেরা। তাদের মাথাগোজার একমাত্র জায়গা হয়েছে গরীবের রাজা বাড়িতে।
এ বিষয়ে সান্তাহার স্টেশনে গরীবের রাজা নামে এক ব্যাক্তি বলেন, ট্রেন বন্ধর পর থেকে স্টেশন বসবাস করা ছিন্নমুল মানুষদের তার নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
সান্তাহারে বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, কম খরচে, দ্রুত সময়ে এবং কম ভোগান্তিতে আমি ট্রেনকে বেশি নিরাপদ মনে করেন। তাই ট্রেন চলাচল না করার কারণে সড়ক পথে ভেঙে ভেঙে দ্বিগুণ খরচে দৈনন্দিন বগুড়া কাজে যেতে হচ্ছে।
স্টেশনে কুলি শ্রমিকের সরদার আলম হোসেন বলেন, ১১ দিন হলো ট্রেন বন্ধ থাকায় স্টেশনে কাজ না থাকায় কুলি শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার খাদিজা খাতুন বলেন, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় সান্তাহার জংশনের আয় কমছে। প্রতিদিনের আয় সঠিক ভাবে নিরূপণ করা যায় না। আয়ের পরিমাণ কম-বেশি হয়। তারপরও গড়ে দৈনিক তিন লাখের মতো আয় কমে গেছে।


আরো খবর