বাস মালিকরা সারাবছর যাত্রীদের যে ডিসকাউন্ট দেন সে কারণেই ঈদের সময় বাসভাড়া বাড়ান বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান।
ঈদের সময় বাসভাড়া দ্বিগুণ হয়ে যায়, এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাজাহান খান বলেন, আমি জানি এটি একটি বিতর্কিত বিষয়। কিছুক্ষণ আগে এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিমানের ভাড়া বাড়ছে নাকি কমছে? বিমান কি যানবাহন না? অবশ্যই বিমান গণপরিবহন। ঢাকা থেকে যাচ্ছে, সেই গাড়িটা কিন্তু ফাঁকা আসতেছে। সেখানে অনেক সময় তারা ভাড়া কিছুটা বাড়ায়, তাও খুব বেশি না। ডাবল নেয় না। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ যদি গাড়ি না পায় তাহলে হয় ইজি বাইক, অথবা মাইক্রোবাস, অথবা নানানভাবে সে কিন্তু যাবেই। দেখা যায় নানানভাবে সে কষ্ট করে যাচ্ছে।
তার মানে কি সারা বছর পরিবহণ লোকসান দিয়ে চলে? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি শুধু বলতে চাই পরিবহণ ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে হলে পরিবহনকে টিকিয়ে রাখতে হবে। পরিবহণ নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর পরিসংখ্যান আছে এবং বিভিন্ন কথা বলা হয় এটি পরিবহণ ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে তোলে। আমরাও চাই ভাড়া বাড়ুক। মালিকরা যতই বলুক তারা ভাড়া বৃদ্ধি করবে না কিন্তু দেখা যায় মালিকরা ভাড়া বেশি নিয়েই থাকে।
তিনি বলেন, ওই যে সারা বছর যেটা ডিসকাউন্ট করে সেটাই বাড়ে। যে ভাড়াটি সরকারিভাবে নির্ধারিত তার পরেও তারা সারাবছর ডিসকাউন্ট দেয়। তেলের দাম কমায় বাস ভাড়া সমন্বয় করা হবে, সেটি নিয়ে আজকে কথা হয়েছে। মালিকরাও বলেছেন, মন্ত্রীও বলেছেন এটি নিয়ে কথা বলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। টিকিট কালোবাজারি হয় না? সেখানেই কিন্তু বাড়তি ভাড়া হয়ে যায় অনেকক্ষেত্রে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তেলের দাম কমায় মালিকসহ সবাই সম্মত হয়েছেন যে পরিমাণ দাম কমেছে সেটি তারা সমন্বয় করে নেবেন। শাজাহান ভাই যেটি বলেছেন তারা যে ডিসকাউন্টটা দেন সারাবছর, ঈদে সেটি দেন না। বিআরটিএ’র মাধ্যমে নির্ধারিত ভাড়াটিই তখন তারা নেন। তিনি কনসিডার করতে বলেন সবসময় বাসটা খালি ফেরত আসে, সেটির একটা খরচ আছে। সেই খরচটা অনেক মালিক নিয়ে থাকেন।