• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহীতে কৃষককে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান: নগরীতে সুপারির ভেতরে ১৪শ পিস ইয়াবা উদ্ধার রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজু, সম্পাদক অপু সাগর-রুনি হত্যার বিচারের বাধা কেটে গেছে: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আমরা নিষিদ্ধের রাজনীতি বিশ্বাস করি না: খায়রুল কবির যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান জুলাই-আগস্টে নিহত পুলিশের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে ক্লাসে শৃঙ্খলাভঙ্গ: সারদায় প্রশিক্ষণরত ৫৯ এসআইকে শোকজ গোলটেবিল বৈঠক-রাজশাহী যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস কমায় উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি: ওয়েবিনারে বক্তারা
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

রাজশাহী সংবাদ ডেস্ক
সর্বশেষ: বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪

সিলেট: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেটের সীমান্তবর্তী ৫টি উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন সাড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষ।

নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে অবস্থিত পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এ অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় গোয়াইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জাফলং,বিছানাকান্দি , রাতারগুল, পান্থুমাইসহ সব ক’টি পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে বুধবার নোটিশ দিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। কেননা,পাহাড়ি ঢলে নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এসব পর্যটনকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কারণে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ সাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, অবিরাম বর্ষণ ও ঢলে ধলাই নদীর পানি অব্যাহতভাবে বেড়ে পর্যটনকেন্দ্রগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রসহ সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

সিলেটের উজানে অবস্থান ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যে। এসব রাজ্যের ভারী বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানির ঢল সিলেটের দিকে নেমে আসে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সিলেটে গত কয়দিন থেকে থেমে থেমে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। বিশেষ করে উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের সীমান্তবর্তী পাঁচটি উপজেলা গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চল।

এসব উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩৩টি প্লাবিত হয়ে সাড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য চারটি উপজেলায় ২১৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এরমধ্যে গোয়াইনঘাটে ৫৬টি, জৈন্তাপুরে ৪৮ টি, কানাইঘাটে ১৮টি, কোম্পানীগঞ্জে ৩৫টি ও জকিগঞ্জে ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্গতরা আশ্রয় নিয়েছেন।

প্রতিটি উপজেলার দুর্গত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২০০ প্যাকেট করে শুকনা খাবার, ১৫ মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।


আরো খবর