এর আগে সকালে নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে গিয়ে উইকেট এনে দেন খালেদ। অফ স্টাম্প থেকে বেশ দূরের বলে ড্রাইভ করতে যান নিশান মাদুশকা। তৃতীয় স্লিপে বেশ জোরে যাওয়া বল ক্যাচ ধরেন মিরাজ।
দ্বিতীয় উইকেটের জন্য অবশ্য কিছুটা অপেক্ষা ছিল বাংলাদেশের। ১২তম ওভারে গিয়ে কুশল মেন্ডিসকে ফেরান খালেদ। ২৬ বলে ১৬ রান করে দেরিতে কাট করতে গিয়ে গালিতে দাঁড়ানো জাকির হাসানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৫৭ বলে মেন্ডিসের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি ভেঙে যায় দিমুথ করুণারত্নের।
ওই ওভারেই করুণারত্নেকেও ফেরান খালেদ। ৩৭ বলে ১৭ রান করা এই ব্যাটারকে দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড করেন খালেদ। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢুকে বলটি। তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া শ্রীলঙ্কা আরও বেশি বিপদে পড়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস রান আউট হলে।
খালেদের বলে অফ সাইডে ফেলে দৌড় শুরু করেন দিনেশ চান্দিমাল। কিন্তু দৌড়ের সময় কিছুটা অলস ছিলেন ম্যাথিউস। নাজমুল হোসেন শান্তর সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভাঙে তার।
এরপর চান্দিমালকেও ফিরিয়ে দেন শরিফুল। লেগ স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ১৩ বলে ৯ রান করে ফেরেন চান্দিমাল। ৫৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। এরপর উইকেটে এসে প্রথম বলেই জীবন পেয়ে যান কামিন্দু মেন্ডিস। স্লিপে তার ক্যাচ ছেড়ে দেন মাহমুদুল হাসান জয়।
পরে এজন্য ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আশির উপর স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করে ২৪৫ বলে ২০২ রানের জুটি গড়েন কামিন্দু-ধনঞ্জয়া। ৫৭তম ওভারে এসে কামিন্দুকে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন নাহিদ। ১২৭ বলে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় ১০২ রানে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি সাজান কামিন্দু।
এরপর সেঞ্চুরি তুলে নেন ধনঞ্জয়াও। লঙ্কান অধিনায়ক অবশ্য তাইজুলের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরে রিপ্লেতে দেখা যায় রিভিউ নিলে ৯৫ রানেই সাজঘরে ফিরতেন ধনঞ্জয়া। ১১তম সেঞ্চুরির পর অবশ্য খুব বেশিক্ষণ টেকেননি। নাহিদকে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে থাকা মিরাজের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরেন ১৩২ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ১০২ রান করে।