রমজান বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের পালন করা একটি পবিত্র মাস। এটি রোজা, প্রার্থনা এবং প্রশান্তির মাস। সাওম নামে পরিচিত রোজা ভোরবেলা শুরু হয় এবং সূর্যাস্তের সময় শেষ হয়, ভোর শুরু হওয়ার আগে সেহরি খেয়ে এবং সন্ধ্যায় ইফতারে রোজা ভাঙার মাধ্যমে রোজা পালন করা হয়।
রমজানের সময় মুসলমানরা প্রার্থনা, কুরআন পাঠ এবং দাতব্য কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দিকে মনোনিবেশ করে। মাসটি ঈদুল-ফিতর উদযাপনের মধ্যে শেষ হয়, এটি মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। ঈদে আনন্দ, বিশেষ প্রার্থনা, ভোজ এবং উপহার বিনিময় হয়ে থাকে।
রমজানের প্রথা বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং অঞ্চলে পরিবর্তিত হয়, তবে সাধারণ অনুশীলনগুলোর মধ্যে রয়েছে মসজিদে উপস্থিতি বৃদ্ধি, দরিদ্রদের জাকাত প্রদান এবং পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে খাবার ভাগ করে নেওয়া।
রমজান মাসে খাদ্যাভ্যাসেরও পরিবর্তন হয়, সারাদিন ধরে টেকসই শক্তি প্রদান করে এমন স্বাস্থ্যকর খাবারের ওপর জোর দেওয়া হয়। তবে অঞ্চলভেদে রোজার খাবার হিসেবে কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবারও থাকে। মুম্বাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালের ক্লিনিকাল নিউট্রিশনিস্ট মিসেস বর্ষা পুষ্টি এবং শক্তির মাত্রা ঠিক রাখার জন্য সেহরি ও ইফতারে সঠিক খাবার বেছে নিতে বলেন। তিনি রোজায় কিছু খাবার খেতে এবং কিছু এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
সেহরিতে যা খেতে পারেন
* ওটসের মতো দানা শস্য।
* প্রোটিনের উৎস যেমন ডিম, দই, পনির, মুরগি বা মাছ।
* শক্তির জন্য দানা শস্য খাবেন। এতে জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে।
* প্রোটিন পেশী মেরামতে সাহায্য করে, ক্ষুধা কমায়।
* ফল এবং শাকসবজি হাইড্রেশন, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে।
সেহরিতে যা এড়িয়ে চলবেন
* কফি এবং এনার্জি ড্রিংক
ইফতারে যা খেতে পারেন
* খেজুর এবং পানির মতো হালকা কিছু দিয়ে শুরু করুন।
* খেজুর প্রাকৃতিক শর্করা, ফাইবার, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম প্রদান করে।
* ফল, সবজি, ভাত, মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবারসহ সুষম খাবার।
* প্রোটিন টিস্যু রক্ষণাবেক্ষণ এবং নির্মাণে সহায়তা করে।
* দানা শস্য এবং জটিল কার্বোহাইড্রেট রিচার্জ এনার্জি স্টোর করে।
* ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার হজমে সাহায্য করে।
* শক্তির জন্য বাদাম, বীজ ইত্যাদি।
ইফতারে যা এড়িয়ে চলবেন
* অতিরিক্ত খাওয়া বা অনেক ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন।
* সারাদিন হাইড্রেটেড থাকতে প্রচুর পানি পান করুন।