প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গত বছর থেকে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সেখানকার জনগণের স্বাধীনতা ও অধিকার দমনে তৎপরতা চালাচ্ছে চীন এবং এ ইস্যুতে বেইজিংয়ের সর্বশেষ সংযোজন আর্টিকেল ২৩ নামের জাতীয় নিরাপত্তা আইন, যা গত বছর পাস করেছে চীনা পার্লামেন্ট।
হংকংয়ের সরকারি কর্মকর্তা সেই আইন বাস্তবায়নের অজুহাতে সাধারণ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের আকাঙ্ক্ষাকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘গত বছর জনগণের অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রতি হংকংয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার চূড়ান্ত দমনমূলক মনোভাব এবং কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে। এসব তৎপরতার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হংকংয়ের সেই সব কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ ওয়াশিংটন হংকংয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল,’।
তবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় হংকংয়ের কোন কোন কর্মকর্তার নাম রয়েছে, তা প্রকাশ করেনি মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকং একসময় ব্রিটেনের উপনিবেশ ছিল। ১৯৯৭ সালে এক চুক্তির ভিত্তিতে ব্রিটেন এই অঞ্চলকে চীনের কাছে হস্তান্তর করে। তবে সেই চুক্তিতে উল্লেখ ছিল যে হংকং সব সময় স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা পাবে এবং সেখানকার প্রশাসনে বেইজিং ‘অযাচিত’ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।