• ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:১৮ পূর্বাহ্ন

পত্নীতলায় ৭ দফা দাবীতেঔষধ ব্যবসায়ীদের  সকাল-সন্ধ্যা বন্ধ ধর্মঘট

পত্নীতলা প্রতিনিধি
সর্বশেষ: রবিবার, ৫ মে, ২০২৪

নওগাঁ জেলার প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর কর্তৃক হয়রানি কর্মকান্ডের প্রতিবাদে নওগাঁ জেলার সকল ঔষধের দোকানের সাথে পত্নীতলা উপজেলার ৩শ দোকান  সকাল- সন্ধ্যা বন্ধ করে প্রতিকী ধর্মঘট পালন করেছে ঔষধ ব্যবসায়ীরা।

রোববার (৫ মে) সকাল ১০টায় নজিপুর বাসস্ট্যান্ড গোল চত্বরে  বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির পত্নীতলা উপজেলা শাখার  সভাপতি শাহরিয়ার এম হাসান পল্লব  এর  নেতৃত্বে  এ ধর্মঘট পালন করেন ঔষধ  ব্যবসায়ীরা। এ সময় মূল্যবান বক্তব্যরাখেন বিসিডিএস সভাপতি শাহরিয়ার এম হাসান পল্লব , সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল, সহ-সভাপতি ফজলুল হক সহ-সভাপতি মোরশেদুল আলম প্রমূখ।

বক্তারা বলেন  ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা সদরের দুই ঔষধ ব্যবসায়ীকে ১০ বছরের জেল ও ১০লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। তাদের মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

কোম্পানি ঔষধ তৈরি করছে, ডাক্তারগন প্রেসক্রিপশন করছে, ঔষধ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আমরা দোকানে রাখলে আমাদের জেল জরিমানা করা হচ্ছে, যেটা মোটেও কাম্য নয়। তারা আরো দাবি করে বলেন, ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আনিত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ঔষধ প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদপ্তর কর্তৃক ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

ফুড সাপ্লিমেন্টস্ ও আন রেজিস্টার্ড ঔষধ যে সকল কোম্পানি বা এজেন্সি বাজার করছে, তাদেরকে ঔষধ প্রশাসনের আইনের আওতায় আনতে হবে। চিকিৎসক দ্বারা আনরেজিস্টার্ড প্রোডাক্ট ও ফুড সাপ্লিমেন্ট প্রেসক্রিপশন লেখা বন্ধ করতে হবে এবং আন রেজিস্টার্ড কোম্পানিকে ঔষধ প্রশাসনের আইনে আওতায় আনা ও ৩৯ বছর পর নতুন ঔষধ ও কসমেটিক্স আইন-২০২৩ সংশোধনের দাবিসহ মোট সাতটি দাবি তুলে ধরে বক্তব্য দেওয়া হয়।

পরে  দুপুর ১২ টায়  বিসিডিএস নেতৃবৃন্দর সাথে মিটিং করেন জেলা প্রশাসক সহ উর্দূতন প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গ।  কেমিস্টদের  যৌক্তিক দাবি সমূহ মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে বৈকাল ৩ টা  থেকে কর্মসূচি  স্থগিত ঘোষণা  করা হয়।   নওগাঁ জেলা সদর সহ ১১ টি উপজেলার ঔষধের ফার্মেসি গুলো খোলা রেখে  ব্যবস্থা পরিচালনা করার  নির্দেশনা দেয়া হয়।


আরো খবর