• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম

পুঠিয়া নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েও সুফল পাচ্ছেন না চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফ

পুঠিয়া প্রতিনিধি
সর্বশেষ: শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ১নং সদর (ইউপি) নির্বাচনে ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল খাঁন ঝন্টু নির্বাচন কমিশন এবং থানায় অভিযোগ করে কোন সুফল পাচ্ছে না। বর্তমানে সে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এতে করে তার নির্বাচন প্রচার-প্রচারণা অনেকটাই বিলম্বিত হয়ে পড়ছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ঘোড়া মার্কা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো আশরাফ খাঁন ঝন্টু বাদি হয়ে নির্বাচন কমিশনার বরাবর ও পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বুধবার ১৭ এপ্রিল তিনি প্রচারণায় গাড়ি ও মায়িক ভাংচুরের একটি অভিযোগ করেন। এর আগে নির্বাচন কমিশন বরাবর আরো দুইটি অভিযোগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
ঘোড়া মার্কা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃআশরাফ খাঁন ঝন্টু বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই পোস্টার ছেড়া এবং আমার কর্মীদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পুঠিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক খ.ম জাহাঙ্গীর আলম জুয়েলের লোকজন।
আমি নির্বাচন কমিশনে ও পুঠিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন সুফল পাচ্ছিনা। আমি জানিনা কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে পরবর্তি সময়ে নির্বাচন কমিশন কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
এছাড়াও আমি গতকাল আমার নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার সময় পুঠিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার পদপ্রার্থী সোহাগ হোসেনের নেতৃত্বে একদল মাদকাসক্ত আমাদের রাস্তা আটকানোর চেষ্টা করেন পরে আমরা সেখান থেকে খুব দ্রুত সময় চলে এসে নির্বাচন কমিশন এবং পুঠিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রকার সুফল পাচ্ছি না।
পুঠিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী সোহাগ হোসেন বলেন, আমি হলাম একজন মেম্বার পদপ্রার্থী আমি কেন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াবো আমি আমার নিজের ভোট করা নিয়ে ব্যস্ত।
পুঠিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী খ.ম জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল বলেন, গতকাল আমার নামে কোন অভিযোগ হয়েছে কিনা এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, দলীয় প্রতীক নেই এবং দলীয় কোন সমর্থনও নেই এবারে নির্বাচনে। তবে ইউনিয়ন  আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা আমাকে সমর্থন করে।
এবং আমার জন্য তারা ভোটের মাঠে কাজ করছে।  আর আমাকে দলীয় প্রার্থী বানানোর কোন প্রশ্নই আসে না। আনারস প্রার্থী তাহলে দলীয় প্রার্থী দাবি করছে কেন? জিজ্ঞেস করলে তিনি জানায় হয়তো কেউ উপজেলা আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গাচ্ছে। দল থেকে কাউকে সমর্থন দেওয়া হয়নি।
পুঠিয়া থানার কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, পূর্বে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে দুই জনই দুটি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছিল কিন্তু পরবর্তীতে আর কোন অভিযোগ আসেনি। গতকাল কোন অভিযোগ হয়েছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জানামতে আর কোন অভিযোগ হয়নি।
দুই প্রার্থীর একই এলাকা হয় একটু যোগাযোগ সৃষ্টি হয়েছিল তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বক্ষণের তৎপর রয়েছে। কোন প্রার্থী অথবা যে কেউ নির্বাচনের মাঠ কে নষ্ট করতে আসে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য আমরা প্রত্যেকটা এলাকায় ডবল টিম বৃদ্ধি করেছি।
সাধারণ ভোটারদের কাছেও বার্তা পৌঁছাচ্ছে যে আপনারা নির্ভয়ে ভোট দিতে আসুন এবং আপনাদেরকে কেউ যদি কোন প্রকার হুমকি বা ভয়-ভীতি দেখায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরকে জানান আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিব এবং আপনাদেরকে নিরাপত্তা দেবার জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছি।
পুঠিয়ার উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার সুস্মিতা রায়ের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে আশরাফ খান ঝন্টু অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে  তিনি বলেন পুঠিয়া থানায় নির্বাচনে চলাকালীন ওসিকে দায়িত্ব দেওয়া আছে তিনি এসকল অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।


আরো খবর