• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:১০ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার, অপহৃত উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
সর্বশেষ: বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা থেকে অপহরণ করা এক কিশোরকে উদ্ধার করেছে রাজশাহী র‌্যাব-৫ এর সদস্যরা। একই সাথে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় চক্রের তিন সদস্যকে। রাজশাহী র‌্যাব-৫ এর একটি দল রাজশাহীর পবা থানার তেঘর এলাকা থেকে অপহৃতকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নগরীর কাজলা এলাকার বরজাহানের ছেলে রশিদুল ইসলাম রশিদ (৪১), পবার তেঘর এলাকার কলিম উদ্দিনের ছেলে কাওসার আলী (৩২) ও পবার দুয়ারী এলাকার মহসিন আলীর ছেলে মফতাহুল ইসলাম কিরন (৪২)। তারা সংঘবন্ধ অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর কেদারগঞ্জ পাড়ায় অপহৃত জুবায়ের আহম্মেদ সীমান্তের বড় ভাই সাইমুন ইসলাম শান্ত (২৮) ঢাকায় পূর্বাশা পরিবহণের কাউন্টারে চাকরি করেন। সেই সুবাদে অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা আব্দুর রশিদের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে সাইমুন ইসলাম শান্তর বাড়িতে রশিদ একাধিকবার বেড়াতে যায়। গত ৮ মে সকাল ৮টার দিকে রশিদ শান্তর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে গিয়ে অপহৃত সীমান্তর বড় ভাই শান্তর খোঁজ করেন।

একপর্যায়ে শান্তর মেজো ভাই বাড়িতে নাই জানালে অপহরণকারী চক্রের সদস্য রশিদুল ইসলাম সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। এসময় বাড়ির লোকজন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে শান্তর ভাই জুবায়ের আহম্মেদ সীমান্তকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার কেদারগঞ্জ পাড়ার আলফালাহ জামে মসজিদের পাশ ডেকে নিয়ে ৪ থেকে ৫জন কৌশলে অপহরণ করে।

পরে বাড়ির লোকজন সীমান্তকে খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা খুঁজি করে। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩টায় অপহরণকারী রশিদ মোবাইল কল দিয়ে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। তা না হলে সীমান্তকে গুম করে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। এরই প্রেক্ষিতে অপহৃত সীমান্তর মেজো ভাই ফারুক আহমেদ অন্তর (২৬) বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এরপর থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ন্যায় র‌্যাবও তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় অপহৃত ও অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর রাজশাহী র‌্যাব-৫ একটি দল রাজশাহীর পবা থানার তেঘর এলাকার কাওছার আলীর বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় অপহৃত সীমান্তকে সেখান থেকে উদ্ধার করে র‌্যাব। এসময় কাওসার ও রশিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কিরণকে।

অপহৃত সীমান্ত উদ্ধারের পর তিনি রাবের কাছে জবানবন্দী দেন। তিনি জানান, মূলত তাকে লিচুর বাগান দেখানোর কথা বলে নিয়ে গিয়ে রশিদুল তাকে অপহরণ করে। পরে তাকে অপহরণকারী কাওসারের বাড়িতে আটকিয়ে রাখা হয়। সেখান থেকে তার পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে মুক্তিপণের টাকা দাবি করা হয়।


আরো খবর