• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬:১৪ অপরাহ্ন

রাসিক নির্বাচন: প্রতীক পেয়েই মাঠে প্রার্থীরা

রিপোর্টার নাম:
সর্বশেষ: শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন। প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই ভোটের মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। পাড়ায় পাড়ায় প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। এরই মধ্যে পোস্টার সাঁটানো শুরু হয়েছে নগরীতে।
প্রতীক পেয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুরশিদ আলম বলেন, দেশবাসির কাছে, জনগনের কাছে যেহেতু নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করার আশ^াস দিয়েছেন। সেই ক্ষেত্রে আমরা আশাবাদি যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। এই পর্যন্ত আমরা আশাবাদি। এরপরে কী হবে বলতে পারবো না। আমরা যদি বিজয় লাভ করি তাহলে আমাদের প্রথম টার্গেট থাকবে যে, দূর্নতির মুলোৎপাটন করা। ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে আমাদের আস্থাও আছে আবার শংকাও আছে। শংকা হলো যে, ইতিপূর্বে আমরা দেখে আসছি যে, ইভিএম এ ব্যাপক কারচুপি হয়। এক জায়গায় ভোট দিলে আরেক জায়গায় চলে যায়। আস্থা হলো নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের সুন্দর একটি ভোট উপহার দেয় এটাই হলো আমাদের আস্থার জায়গা।
জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, এখন পর্যন্ত পরিবেশ খুব সুন্দর আছে। যেটা আমার মনে হয়েছে। আমি নিজেও ঘুরছি। যেটা মনে হচ্ছে পরিবেশ সুন্দর আছে। আমার মনে হয় ভাল থাকবে। ভাল থাকলেই সাধারণ মানুষ ভোট দিতে আসবে। নির্বাচন কেমন হবে, সেটা এখনও বলতে পারছি না। ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সংশয়ের কথা বলেন এই প্রার্থী। জাতীয় পার্টির এই প্রার্থী বলেন, আমার মনে হচ্ছে এই জায়গাতে একটু সমস্যা আছে। আমার ধারনা ৫০ ভাগের নিচে চলে আসবে।
জাকের পার্টির প্রার্থী একেএম আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইভিএমে ভোট হবে, কিন্তু এখনও ভোটারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না। কীভাবে এতে ভোট দেওয়া হবে, সেটা আমাকেও প্রার্থী হিসেবে জানানো হয়নি। এটা নিয়েই আমার শঙ্কা যে, সবাই ঠিকঠাক ভোট দিতে পারবে কি না।
প্রতীক গ্রহণের পর নৌকার প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী একটি দল। নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিকাশ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন। নির্বাচন আসলেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত আনন্দিত ও খুশি হয়, সারাদেশের মানুষকে নিয়ে একটি আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের নেতাকর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হবে। আমি খুবই আশাবাদী এই নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করবো ইন্শাল্লাহ। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী ও সমর্থকরাও ভোটাদের নিয়ে আসেন। আমি মনে করি এই নির্বাচনে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ভোট কাস্ট হতে পারে। আজ (শনিবার) তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন খায়রুজ্জামান লিটন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনটি ওয়ার্ডের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারাও দেখছেন। সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা একটা লেভেল প্লেইং ফিল্ড করার জন্য যা যা করণীয় তা করছি। তিনি বলেন, ইভিএম এর বিষয়ে আনুষকে সচেতন করার কাজ চলছে। কিভাবে ভোট দিতে হবে এবিষয়ে জানানো হচ্ছে।
আগামী ২১ জুন রাসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। এবার মেয়র পদে চারজন ছাড়াও ১০টি সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য ৪৬ জন এবং ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের জন্য ১১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সব কেন্দ্রেই ভোট গ্রহণ করা হবে ইভিএমে।

 


আরো খবর