• ঢাকা, বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহীবাসীকে যুবদল নেতা রিটনের ঈদের শুভেচ্ছা প্ররতারণা করে ফ্ল্যাট হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে কৃষি কর্মকর্তা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা  কারাফটকে মায়ের মরদেহ দেখলেন সাবেক এমপি আসাদ বানেশ্বর-ঈশ্বরদী সড়ক নিয়ে নতুন শঙ্কা চলে গেলেন বরেন্দ্রের প্রাণ পুরুষ ড. আসাদুজ্জামান বালু ও মাটি দস্যুতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বাঘায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাবার মৃত্যু: মেয়ের পা বিচ্ছিন্ন চাঁপাইনবাগঞ্জে খাস জায়গায় দোকানঘর নির্মাণের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ রাকসু নির্বাচন ও শতভাগ আবাসনের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আ’লীগের স্থগিতাদেশ বাতিল বা প্রত্যাহার না হলে নির্বাচনের সুযোগ নেই: ইসি মাছউদ
নোটিশ
রাজশাহীতে আমরাই প্রথম পূর্ণঙ্গ ই-পেপারে। ভিজিট করুন epaper.rajshahisangbad.com

চালের বস্তায় দাম-জাত লেখা কার্যকর হচ্ছে রোববার, প্রস্তুতি নেই মালিকদের

রাজশাহী সংবাদ ডেস্ক
সর্বশেষ: শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪

এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও।এ নির্দেশনা রোববার (১৪ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হচ্ছে। তবে চালকল মালিকরা বলছেন, তারা প্রস্তুত নন। নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে বাজারে চাল থাকবে না। কারণ, বস্তায় কেউ নতুন সিল দেয়নি।

গেল ২১ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে নির্দেশনাটি জারি করা হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, সব জেলা প্রশাসক, সব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সব উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি লায়েক আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, নতুন নির্দেশনা পালন করাতে হলে গেজেট জারি করে মালিকদের সময় দিতে হবে। আমাদের সেভাবে জানানো হয়নি এবং জানামতে কেউ বাস্তবায়ন করেনি। এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে বাজারে চাল থাকবে না। কারণ কেউ নতুন বস্তায় চাল বাজারজাত করেনি।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন সই করা নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে।

চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বাড়লে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমত জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে- চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের আগে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিলগেটের দাম এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।

চাল উৎপাদনকারী মিলমালিকের সরবরাহ করা সব চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিলগেটের দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।

এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা ৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।


আরো খবর