ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অতীতটা ভাল ছিল না মুস্তাফিজের জন্য। ফিজের প্রধান অস্ত্র কাটার এবং স্লোয়ার। মুম্বাইয়ের মাঠে সেটা খুব একটা কাজে আসেনি। বল হাতে টাইগার পেসার ছিলেন খরুচে, ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫৫ রান। তবে দিনশেষে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে জয়ের এক্স-ফ্যাক্টর হয়ে ছিলেন টাইগার পেসারই।
টি-টোয়েন্টির নাম্বার ওয়ান ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবকে শূন্য রানে ফিরিয়েছিলেন মাথিশা পাথিরানা। সেটায় বড় ভূমিকা ছিল বাংলাদেশি পেসারের। পাথিরানার বলে ডিপ থার্ডম্যান সীমানায় দাঁড়িয়ে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন মুস্তাফিজ। বিপজ্জনক ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবকে ফিরতে হয়েছে ফিজের সেই অসাধারণ ক্যাচের কল্যাণে। সূর্যকুমারের এই ক্যাচ চলতি আইপিএলের সেরা ক্যাচ হতেই পারে।
পাথিরানার বলে তুলে দিয়েছিলেন থার্ডম্যানে। আর একটু হলেই ছয় হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু মুস্তাফিজ সেই ক্যাচ ধরেন। ভারসাম্য সামলাতে না পেরে বল উপরে ছুড়ে দিয়েছিলেন। বাউন্ডারির ভেতরে একটি পা রেখে ভারসাম্য ফিরিয়ে আবার মাঠের ভেতরে এসে ক্যাচ লোফেন। রিভিউ দেখার পর আউট দেওয়া হয়। পাথিরানার ওই ওভারেই আউট হয়েছিলেন ঈশান কিশান।
পরে সূর্যকুমারের আর এই ক্যাচটিই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। আর সেইসঙ্গে হয়ে যায় ম্যাচের সেরা ক্যাচ। যার জন্য ম্যাচ শেষে মুস্তাফিজ পেয়েছেন ভারতীয় ১ লক্ষ্য রুপি। বাংলাদেশের অর্থমূল্যে যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৯৫ টাকা।
বল হাতে খরুচে হলেও ফিজ প্রশংসায় ভেসেছেন ক্যাচের জন্য। যেই তালিকায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক অ্যাডাম গিলক্রিস্টও। সাবেক এই উইকেটরক্ষক মনে করেন পাথিরানার সেই এক ওভারেই খেলার মোমেন্টাম ঘুরে গেছে, ‘মুস্তাফিজের ক্যাচটা দারুণ ছিল। ওই এক ওভারে দুই উইকেট যাওয়ায় মোমেন্টাম ঘুরে যায়।’
রোববার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও শিভাম দুবের জোড়া ফিফটি ও শেষ দিকে ধোনির হ্যাটট্টিক ছয়ে ২০৬ রানের বড় পুঁজি গড়েছিল চেন্নাই। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল মুম্বাই। এক পাথিরানার তাণ্ডবে ধস নামে স্বাগতিক শিবিরে। ৬৩ বলে ১০৫ রানে অপরাজিত থেকেও দলকে জেতাতে পারলেন না রোহিত শর্মা। ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন পাথিরানা।