নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন ২১ জুন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। সোমবার দুপুর ২টায় রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনের নিকট মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করেন তিনি। মেয়র প্রার্থী লিটন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র। মনোনয়নপত্র জমা প্রদানের পূর্বে নির্বাচন অফিসের সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মোনাজাত করা হয়।
মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হিসেবে আজকে মনোনয়নপত্র দাখিল করলাম। আমি জানি নগরবাসীর আরো কিছু আশা-আকাঙ্খা অপূর্ণ আছে। সুযোগ পেলে আগামী ৫ বছরে সেগুলো পূরণ করতে চাই। রাজশাহীতে শিল্পায়নের অবস্থা ভালো না ও তেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। সেখানে কীভাবে শিল্পায়ন করা যায়, কর্মসংস্থান বাড়ানো হয়, সেক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকবো। আমার নির্বাচনী ইশতেহারে ১ নম্বরে থাকবে কর্মসংস্থানের বিষয়টি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা নিয়ে আমি রাজশাহীকে কর্মমুখর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াটা একটা অনুষ্ঠানিকতা। এটা দিতে হবে। আমি নেতাকর্মীদের সকলের সহযোগিতা পেয়েছি। আমরা ঐক্যবদ্ধা ভাবেই নির্বাচনে লড়াই করছি। কাউকেই ছোট করে দেখছি না। যারা মেয়র পদে পর্থী আছেন তাদের সাথে ভোট যুদ্ধে যাওয়ার জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া দরকার সবই আমরা নিয়েছি। আরও খুশি হতাম যদি বিএনপির প্রার্থী থাকতো। তাহলে তাদেরকে আমরা সুমচিত জবাব দিতে পারতাম।
মনোনয়ন দাখিলের সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বেগম আখতার জাহান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেসা তালুকদার, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, নাইমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু ও মোস্তাক হোসেন, প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ।
এরআগে ২০০৮ সালে প্রথমবার মেয়র হন খায়রুজ্জামান লিটন। ২০১৮ সালে রাসিক নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। এবারে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য রোববার বিকেলে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। শেষ কর্মদিবস শেষে রাত ৯টায় নগর ভবনে থেকে বেরিয়ে যান তিনি।