আরটিজেএ নিয়ে সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের পাঁচ সদস্যকে বহিষ্কার করেছে নির্বাহী কমিটি। রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আরটিজেএ-এর নির্বাহী সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন- একুশে টিভির রিপোর্টার বদরুল হাসান লিটন, ডিবিসি চ্যানেলের রিপোর্টার সৌরভ হাবিব, নাগরিক টিভির রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম, মাইটিভির রিপোর্টার শাহরিয়ার অন্তু এবং একাত্তর টিভির ক্যামেরাম্যান মেহেদি হাসান।
উল্লেখ্য যে, রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-আরটিজেএ, রাজশাহী এর সম্প্রতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে বরাবরের মত প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীরা নিজ নিজ অবস্থানে সুষ্ঠূভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় এবং নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় এবং ফলাফল সবাই একাগ্র চিত্তে মেনে নেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর পরই আরটিজেএ-এর কোনো রকম কর্মাকান্ড শুরুর আগেই নির্বাচনে হেরে যাওয়া দুই সভাপতি প্রার্থী হাতে গোনা কিছু সদস্যকে নিয়ে নতুন সংগঠন তৈরীর ঘোষণা দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন।
যা অন্যায় এবং রাজশাহীতে টেলিভিশন সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ তৈরীর একটা অপচেষ্টা বলে সংগঠনের নির্বাহী কমিটি মনে করে। নির্বাচনে হেরে যাওয়া দুই সভাপতি প্রার্থী নিজেদের আখের গোছাতে এই অপচেষ্টা করেছেন বলে নির্বাহী কমিটি্র সভায় নিন্দা জানানো হয়।
আরটিজেএ এর সভাপতি মেহেদী হাসান শ্যামল ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়, প্রিয় সংগঠন আরটিজেএ-এর কিছু সদস্যকে হঠাত করে ডেকে আলোচনার নাম করে বসে হেরে যাওয়া দুই সভাপতি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নাম প্রদান করে নতুন সংগঠনে অন্তর্ভুক্তিকরণ করেন যেটা মোটেই কাম্য নয়। যা নিন্দনীয় ও সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ড।
এছাড়াও আরটিজেএ-এর নামের মত বা কাছাকাছি কোনো সংগঠন তৈরীর অপচেষ্টা করেছেন নির্বাচনে সভাপতি পদে হেরে যাওয়া দুই প্রার্থী। কাজেই রাজশাহীতে টেলিভিশনে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের প্রাণের সংগঠন আরটিজেএ নিয়ে কোনো চক্রান্ত সংবাদকর্মীরা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। সবাইকে উক্ত বিষয়ে বিবেক ও সুচিন্তার মাধ্যমে সাবধান ও সচেতন থাকার জন্য আরটিজেএ-এর নির্বাহী কমিটি সবাইকে অনুরোধ করছে।
উক্ত বিষয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেও অবগত করে হয়েছে। তদুপরি কারণ দর্শানো নোটিশ ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে উক্ত পাচজনকে অফিসিয়ালি সরাসরি পত্রে প্রদান করা হয় এবং গঠপতন্ত্র মোতাবেক তাদের আজ এই বহিষ্কারাদেশ কার্যকর করা হলো।
উল্লেখ্য যে, কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা ব্যাক্তিগত বা দলগত কোনো মেসেঞ্জার গ্রুপে পাঠানো কোনো অফিসিয়াল বার্তা আরটিজেএ বা কোনো সংগঠনেরই গ্রহন করার সুযোগ নেই। রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-আরটিজেএ একটি গঠনতন্ত্র ও নির্দিষ্ট কাঠামো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমকর্মীদের প্রাণের সংগঠন।